মাঝেমধ্যেই কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যাই
বাহির থেকে মানুষের মতোই দেখায় কিন্তু
ভেতরে হিংস্র নেকড়ের মতো ভর করে মাংস পিপাসা।
মানবিক দেহে মুহূর্তে জেগে উঠে সর্বগ্রাসী ক্ষুধা।
আঁচলের ভাঁজে টিলার মতো মিশে থাকা মাংসপিণ্ড
পলকেই গ্রাস করে তৃষ্ণার অপূর্ণ ওষ্ঠ
অজানা শিহরণের কাছে নত হয়ে আসে সমস্ত শরীর
আমি অস্থির হয়ে যাই, উন্মাদ হয়ে যাই।


নগরীর এলোমেলো রাস্তায় সমস্ত ছুটাছুটি শেষে
ফিরে আসি নীড়ে, শরীরের কাছে মাংসের কাছে
সঙ্গমের টানে পালকের মতো নরম লিঙ্গ
হঠাৎই হয়ে ওঠে জল্লাদের শানিত অস্ত্র।
শান্ত নদীর বুকে আষাঢ়ের প্রথম ঢল যেমন
গ্রাস করে মৃত্তিকার বুক
তেমনি লুটতে চায় পিয়াসু নারীর সমস্ত শরীর
নিঃশ্বাসের দ্রুত পদপাতে ভিজে ওঠা নরম যোনি।


এই হিংস্র উত্তেজনা থেকে আমাকে উদ্ধার করো নারী
আমাকে রক্ষা করো সমূহ পচন থেকে
মিছিলের অনেকটা পথ এখনো বাকি।
আমাকে ফিরতে হবে সেইসব মৃত দেহের পাশে।
জানি এ চাওয়া নিতান্তই জৈবিক
শুধু যে আমার হয় তা কিন্তু নয়
তোমারও তো হয়, তোমারও তো হয়।