তোমার চলে যাওয়ার খবর শুনে
আকাশে বসলো মেঘেদের জরুরী আসর।
তারা ঠিক করলো, সারাদিন— সারারাত
বৃষ্টি হয়ে ঝরবে তুমুল বর্ষণে,
যাতে তুমি এগোতে না পারো এক কদমও।
তুমি চলে যাবে তা কেমন করে হয়!


এই যে এই রাতের শুকনো আকাশ
বাতাসে ঝিরঝির বয়ে চলা করুণ সুর,
নদীর অবিরাম ঢেউ– জলের টলমল শব্দ,
শিশিরের শীতল স্পর্শ, ভোরের কাঁচা রোদ,
পাখির শূন্য পালক– এ সব তোমার জন্য।
তুমি সব ছেড়ে চলে যাবে তা কেমন করে হয়!


আমার এই দুটি হাত তোমার জন্য,
দু হাতে কুড়ানো বেলী ফুল, ফুলের গন্ধ–
বিকেলের শেষ ভাগে তোমার খোঁপায়
গুঁজে দেওয়া কাঠগোলাপ–
কাঠগোলাপের প্রগাঢ় মায়া— তোমার জন্য।
এই যে এই আধ-ভাঙা নীল শাড়ী,
শাড়ীর রঙের সাথে মিলিয়ে কেনা চুড়ি
চোখের কাজল– আমার চেয়ে থাকা–
এই সব তোমার জন্য।
তুমি এসব নিবে না তা কেমন করে হয়!


এই যে এই ভীষণ অভিমান,
অভিমানে পুড়ে যাওয়া চোখ– নীল দুঃখ,
দরজায় অবহেলার ঠকঠক শব্দ,
কানের কাছে ফিসফিস করা বিষাক্ত ঘৃণা
ভুলে যাও– ভুলে যাও এ সব গ্লানি, ব্যথা, ক্রোধ।
ভালোবাসলে সব ভুলে যেতে হয় অবলীলায়।
চলে যাওয়া কোন সহজ সমাধান নয়।
যে ভালোবাসে– সে চলে যায় না,
বুকে প্লাবন নিয়েও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখে।
অথচ তুমি চলে যাবে– তা কেমন করে হয়!