উদ্দাম তারুণ্যের মত ঋজু পাহাড় আর ছলছলে চোখের নদী যেখানে যুগলবন্দী- বিছনাকান্দি!
পথের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় অবাক সবুজ স্পর্শে।
মন বুঝি টিয়ার মত ডানা ঝাপটায় অবুঝ হর্ষে।


স্বচ্ছজলের পথ চিরে তরতরিয়ে এগোয় নৌকা।
বালক মাঝি বুক চিতিয়ে হাল ধরে রয় একা।
স্কুলপড়ুয়া ছোট্ট মাঝি স্কুল ফাঁকি দেয় হররোজ।
জীবিকার টানে সে নৌ-পাটাতনে, কে বা রাখে খোজ!


দ্বীপের মত মাথা তুলে আছে কত মনোলোভা পাথর।
দিগন্তের বিছানায় ঘুমায় আকাশ, গতরে নীল চাদর।
দূর গ্রামের সুপারী বিথী আহ্লাদে ডাকে- আয় আয়!
মরচেধরা শহুরে অন্তরে বসন্তবাউরি শীস দিয়ে যায়।


রূপমুগ্ধ পথিক পাঠ করে শুধু- সুবহানাল্লাহ!
সকল প্রশংসা শুধু তোমার হে খালিক, হে রব!
সৃজন করেছ সব, দিয়েছ নেয়ামত প্রকৃতি ভরে।
কান্দে বান্দা, বিছনাকান্দি দিয়েছে চক্ষু শীতল করে!