বহুদিন, অনেক বছর, যুগের পর কত যুগ;
রয়েই গেলাম কাল থেকে কাল তৃষ্ণার্ত পথিক!
তেপান্তরের পথেঘাটে-প্রান্তর জুড়ে-
কতো মানব মানবীর সাথে হলো সাক্ষাৎ,
চৈত্রের ভর-দুপুরের শান্ত দিঘীর মতই-
স্থির হতে চেয়েছিলাম কোথাও, পারিনি;
লাম্প পোষ্টের ন্যায় স্থবিরতা মিলেই'নি কোথাও!


বৈশাখী হাওয়ায় উড়িয়েছি কতো স্বপ্ন...
কখনোই ডাকলো না কেউ- নিলো না খবর!
মনের ভুলেও কভু কেউ বলেনি-
'এসো হে পথিক-
তুমি এসো মোর ঘুমো ঘরে'...।
অবহেলা অনাদরে স্বপ্নগুলো সব-
শ্রাবণের মেঘ হয়ে ফিরেছে বেলা অবেলায়,
ফিরেছে আবারও আমার পোড়া দুই চোখে;
হয়নি কভু কোথাও এতটুকুন ঠাঁই...।
কোথাও পাইনি গো আমি একটু সহানুভূতি,
জুটলো না ভাগ্যে কখনোই কোন হৃদয়ের ঘর।


দেখেছি শরতের স্তব্ধ দুপুর,
শেওলাহীন নির্জন পুকুরের স্বচ্ছ জল;
কেঁপে কেঁপে ওঠে ডাহুকীর বুকফাটা চিৎকারে।
ভালোবাসার আগুনে পুড়তে পুড়তে-
পেরিয়ে গেল কত যুগ,
অতৃপ্ত আত্মার চিৎকারে-
হয়েছে কতো রাত আমার সন্ধ্যা থেকে ভোর;
মনের মনিকোঠায় ছিলো কতইনা যতনে-
কাঙ্ক্ষিত চাওয়া গুলো সব সাজানো...!
যুগের পথ ধরে, প্রতিটি সন্ধ্যায়-
ধূপের ধোঁয়ার মতই ঘুরেছি ঘর থেকে ঘরে;
কেউ রাখেনি আমার বিশ্বাস- ইচ্ছে-সাধ স্বপ্ন,
নেয়নি কভু কেউ- পুড়ে নিঃশেষ ছাইয়ের খবর!


এভাবেই পেরিয়ে গেল কতো বসন্ত,
ফিরে এলো কত বৈশাখ-কত সৌরভ ফাল্গুনে!
পৌঁছেনি আজও তোমার কাছে 'হৃদয় পোড়া গন্ধ'...!!