আমি নই কোন দেব-দেবতা, নই কোন মূর্তি,
পাথর সিমেন্টে গড়া ভাস্কর্য নই মহামানব ঋষি।
আমি মানুষ, রক্ত মাংসে গড়া সাধারণ মানুষ,
আমার মাঝে আছে হাসি-কান্না অনুভব, কষ্টবোধ,
ভালোবাসায় গড়া আমি মানুষ, আছে অনুভূতি।


তাই বুঝি কষ্ট লাগে, অমানবিক-বৈষম্যে পুড়ি।
মানুষ মানুষের উপাদান হারিয়ে-নৈতিকতা নীতি
পশুতুল্য মনুষ্যত্ব, চারিদিক মানুষরূপি-মুখোশ,
অন্ধ বিবেক, মনুষ্যত্বহীন মানুষের চরিত্রদোষ;
মানুষকে করে রাখছে বশ্য যেন বদ্ধ খাচার পাখি!


বোনের চোখেমুখে ভয়-বিভীষিকা, আশ-খরা চৈতি!
নির্লুপ্ত মানুষের রুচি, পশুসুলভ বিচরণে দুষ্কৃতকারী।
দুর্বলে সবলের অত্যাচার, শিশু-বাচ্চাটিও বেহুশ
সমাজের নির্মমতায়, পাষণ্ড মানুষ-আত্মা কি অদ্ভুত!
কন্যাগৃহে মায়ের আর্তনাদ,ধর্ষকের কাছে ফরিয়াদি।


মানুষের অধিকার নিয়ে পাশাখেলা-য় রাজনীতি,
লাশের উপর দাঁড়িয়ে গন্ধ শুকে,নয় দেশাত্মবোধি।
ভুলে জাতিসত্তা চেতনা,সাম্প্রদায়িক ক্ষমতার লোভ,
ন্যায় কম্পিত, অন্যায়ে দাম্ভিক দাপট সাধারণে ক্ষোভ।
হয়-নিঃস্ব নয়তো লাশ যদি কেহ হয়ে উঠে প্রতিবাদী।


ধর্মের নগ্ন ব্যবহার কুলসিত হচ্ছে মানুষ ঘৃণিত সৃষ্টি,
মানবিকতা হারা নির্মমতায়-পূর্ণ মানুষ-কূলে অশান্তি।
আস্তিক নাস্তিকবাদ স্রষ্টায় বিভক্তি উপসনায় বিরোধ,
হারিয়ে উদার্যতা ধর্ম যাজক ধর্মের অপব্যবহারে চুপ।
যেথা-শৃঙ্খলা-শান্তি সেথা নির্বাসিত মানবিক গুণাবলি!


স্তম্ভিত অতিশয় নিষ্কণ্টক, হারাই সাধের সুর ভৈরবী,
মনুষ্যত্বহীন পশুতুল্য মানুষ ভস্মি, মমতার অনুরাগী।
বিবেকহীন-অত্যাচারির বিরুদ্ধাচরণ,মানবিকতায় অবুঝ,
দেশদ্রোহীর বুকে বিষ-তির দুঃশাসনে-হই প্রতিবাদী সুর।
খুঁজি না ধর্ম-জাতি,সর্বোচ্চাসনে স্রষ্টা,সৃষ্টি-র অগ্রগামী।