সেদিন
তোমাকে মনে পড়ছিল খুব...!
বৃষ্টিস্নাত সকালের বুকে বয়ে চলা
ঝিরঝির স্নিগ্ধ বাতাসে শীতল হতে পারেনি
আমার তপ্ত নিঃশ্বাস...!
জ্বালিয়ে দিয়েছিল আগুন,
পুড়িয়ে দিয়েছিল, বেদনার মহাপ্রলয়ে
হারানো স্বপ্ন শোকে কষ্ট শ্রাবণে সিক্ত,
চোখ দুটির সীমানায় অবশিষ্ট যতো সুখ।  
সেদিন....!
অমানিশার নিঃস্ব রাত্রির শূন্যতা এসে,
ঘিরে রেখেছিল আমার চারিপাশ।
আমি স্তব্ধ হয়ে যাই
নীরবে নিঃশব্দে ডুবে যাই শূন্যতার গহীনে!


সেদিন....
তোমাকে মনে পড়ছিল খুব....!
চোখ বুজে আহত মনটার হাত ধরে ছোটে যাই
প্রায় দুই যুগ পিছনে ফেলে আসা
জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ গুলোর খুঁজে। পাই-নি...!
যে সুখ স্বপ্ন হয়ে চোখে ভাসতো সারাক্ষণ
হতো না এই চোখের আঁড়াল,
এই মনের আকাশে ঘুরে বেড়াতো উল্লাসে,
এখন আর সেই সুখ আমাকে চিনেনা!
বেমালুম ভুলে গেছে এই চোখ, এই মন-কে...!
তাই'তো সুখের আকাশে উড়তে গিয়ে
ডানা ভাঙা পাখির মতো,
ভেসে চলেছি বেদনার মহা স্রোতে...!


সেদিন মনে পড়ছিল খুব...!
স্কুলের মোড়ে এসে দাঁড়াতেই- প্রসন্ন চিত্তে।
উল্লাসে নেচেছিল মন,
আমাকে টেনেটুনে নিয়ে যাচ্ছিল বারান্দায়,
সেখানে দাঁড়িয়ে হাসছিলে তুমি, এদিক চেয়ে।
ওই হাসিভরা চাঁদমুখ দেখেই আত্মহারা ছিলাম,
সামলাতে পারিনি তাই আমার মনটাকে।
দিশেহারা পাগল মনটা
এত কাছাকাছি থেকেও ছুঁতে পারেনি তোমাকে!
তোমার সামনে বাঁধা হয়েছিল সামান্য
স্বচ্ছ কাচের দেয়াল, তুমি ইচ্ছে হলেই
যা ভেঙে ছোঁয়ে দিতে পারতে মন।
তুমি অবহেলায় ফিরিয়ে নিয়েছিলে মুখ!
ধাও ধাও জ্বলছিল আমার নিষ্পাপ ভালোবাসা!
তুমি আত্ম-অহংকারে ডুবে ছিলে...
ভাসছিলে অনাগত সুখের উল্লাসে। তাই
আমার হৃদয় পুড়ার গন্ধ তুমি বুঝতে পার-নি!
সেদিন... হৃদয় ভাঙার শব্দে  
কাঁপছিল আকাশ, কেঁপে ওঠেছিল পৃথিবীর বুক!
সেদিন তোমাকে মনে পড়ছিল খুব....!!