কি আসে যায় / সাহেদ আহামেদ
বলি তাতে কার কি আসে যায়?
বেরসিক সত্য মেতেছে নিষ্ঠুর রসিকতায়।
উঠোনের ধূলো বিষাদের সাথে
রোজ ফন্দি এঁকে উপহাস করে।
সে নাকি নোঙড় তুলে বন্দর ছেড়েছে
করুণা করতেও আর আসবে না তীরে।
বলি তাতে কার কি আসে যায়?
সত্য বরাবরই অজুহাতের ইতিহাস।
আত্মহত্যার হাজার কারণ থাকার পরেও
নোনাধিক বেঁচে আছি অনিহায় একান্তে,
আত্মহননের শহরে নিঁখোজ হতে গিয়েও
অপেক্ষর ঘুড়ি উড়ে প্রত্যাশার দিগন্তে।
আবেগটা নির্যাতিত বাস্তবের নাট্যশালায়,
অপ্রিয় হলেও সত্য বরাবরই নিষ্ঠাবান।
বলি তাতে কার কি আসে যায়?
পাজড় ভেঙে প্রাচীর অখন্ড অভিমান।
বাস্তবের চৌরাস্তায় আবেগের জোছনা
তাচ্ছিল্য হলেও স্বপ্ন আঁকে অন্তরে,
কিছু ব্যাথা দিন আর রাত বোঝেনা
তাই অষ্টপ্রহর তান্ডব করে মনের বন্দরে।
তীক্ষ্ণ ক্লেশ যত ভয়াবহ ততই অবুঝ,
তিন প্রহরই মশাল জ্বলে পরাণের গহীনে।
সান্ত্বনা নামের মলম সেখানে অহেতুক,
দীর্ঘঃশ্বাস ছটফট করে ভিতরে বাহিরে।
রবিবার রাত ০৯:৪৫ মিনিট,
২৩ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ,
০৭ জুলাই ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ,
ইসমাইলের চায়ের দোকান,
২ নং ওয়ার্ড ইমাম বাড়ি সড়ক,
আগানগর কাঠুরিয়া, কেরানীগঞ্জ,
ঢাকা ১৩১০ বাংলাদেশ।