ন|ক|ল \ সাহেদ আহমেদ


খোকা একদিন অনেক বড় হবে,
সাফল্য হবে গালিচা পায়ের নিচে এসে।
শ্রদ্ধায় মাথা নত করে আকাশ বসে রবে,
আমার মা গর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।


দৈন্যতার মাঠে ঘামের লাঙ্গল গেঁথে
আমায় নিয়ে স্বপ্ন বুনতো ক্লান্ত দুটি চোখে।
অভাগার কপালে স্নেহের চুমু কেটে
থালা ভরে ভাত দিতো শূন্য হাড়ি রেখে।


একদিন লৌগা সাধুর মেলায় গেলাম
আমি আর মা তিন কিলো হেটে,
লাল একটি শার্টের বায়না ধরেছিলাম
মা অশ্রুশিক্ত হলো শাড়ির আঁচল ঘেটে।


অল্পতেই বিচলিত হতো সামান্য জ্বর হলে
চোখে বইতো নদী আঁচল ভিজতো স্রোতে,
প্রার্থনায় আমার অসুখ নিজের করে নিতে
রাত হতো ভোর তাহাজ্জুদের মোনাজাতে।


এখন আমার সকাল থেকে সন্ধ্যা গুলো
শ্রান্তির পথ চেয়ে ক্লান্ত সভ্যতার নগরে,
হাহাকার করে সে দিনের স্মৃতিগুলো
পঁয়ত্রিশ বছর আগলে রাখা বুক পকেটে।


আমার নিশাচর উঠানে মমতার আকাল
তোর মতো কেউ নেই এ স্বার্থপর জগতে,
মা মাগো আমি তোর তিন কালের নাকাল
তিরস্কৃত ক্লান্ত এক কাঙাল এ স্বার্থের শহরে।


বৃহস্পতি বার রাত ০১:৩০ মিনিট
১৭ কার্ত্তিক ১৪২৫ বঙ্গাব্দ,
০১ নভেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ,
আমার নিশাচর তৃষ্ণার্ত উঠান,
বুড়িগঙ্গা সংলগ্ন সড়ক জনপদ স্টাফ কোয়ার্টার,
ব্রীজ ঘাট সড়ক, কেরানীগঞ্জ ঢাকা বাংলদেশ।