একবার নয়,বারবার,
পৌছে যাই এই রেখায়,
পরিধি কিংবা বৃত্ত, কেন্দ্রবিন্দু বোধ হয় একটাই।
জ্যামিতিকভাবে আমাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে,
যার যতবেশি প্রতিভা সে ততবেশি অবহেলিত,
এই পটভূমিতে জোনাকগুলো মিটিমিটি করে আর জ্বলে না,বরং ঝাড়বাতিগুলোই বেশি আলো ঝরায়,
থাকে কিছু তারা রাতের অন্ধকারেও মলিন হয়ে,
থাকে কিছু স্বপ্ন অধরা,অস্পষ্ট হয়ে,
থাকে কিছু প্রেম অব্যক্ত কিংবা উপেক্ষিত,
থাকে কিছু শব্দ পদদলিত,
এই যে,দাঁড়িয়ে আছি মরুভূমিতে
এখানেইত আমার জন্ম,
জন্মের সময় বোধ হয় এতটাই নিগৃহীত
ছিলাম বলে এখনো অস্তিত্বের খোঁজে সবখানে
পরিত্যাজ্য,
আমি যখন ঐ মন্ত্রমুগ্ধ মেঘহীন আকাশকে
ভালবাসি সে আমার উঠোন কালো মেঘের
ছায়ায় ভরিয়ে দেয়,
যেন ভালবাসাটাই অপরাধ,শ্রদ্ধা করে প্রকাশ করাটাই ভুল ছিল,
ভালবাসার দন্ড পাচ্ছি অনবরত,
এই শ্রেনিসংগ্রামে বারবার শ্রেনিহীন হচ্ছি,
কোথায় দাঁড়াব?
এক টুকরো জমিন আমার তাও দখলদারিতে,
আমি ফোটাতে চাই কৃষ্ণচূড়া,তারা বলে গোলাপ
ফোটাতে,
আমি গোলাপ ফোটাতে পারি না,কন্টকিত হই,
গোলাপ ত সবাই চায়,
মাটির মত,ঘাসের মত,কাশফুলের মতো কৃষ্ণচূড়া কে চায়?
অবশেষে আবিষ্কার করলাম আমি একটা অস্ফুট
কৃষ্ণকলি যার ফোটবার সময় এখনো হয় নাই।