আমি ভুলতে পারি না অপমান,জানালার ফাঁকে রোদ্দুর দেখা সেসব বিবাদের দিনে;
আমি ভুলতে পারি না,গদ্যময় আলপনা ছদ্মবেশী ছাঁচে,আমি ভুলতে পারি না,
অনবদ্য লিখন মায়ার কম্পনে শুধুই সমাবেশে,
আমি ভুলতে পারি না,আজও এনিগমার অমিতাভে,
আমি কি ভুল করেছিলাম যে জুটেছে কৌশলগত অপমান,উন্মনা ব্যবিচার,পদদলিত আত্মাভিমান,
বারবার প্রায়শ্চিত্ত,বারবার হতবাক,
আমি কি ভুল করেছিলাম তোমাকে ভালোবেসে আলগোছে ক্ষুদেবার্তায়,মেসেঞ্জারের নীল চৌকিতে চৌকস সব বার্তায় বারবার অকিঞ্চিৎ ক্ষমাপ্রার্থনায়,তুমি অদেখা করেছ সব আহ্বান,তোমার উপহাসের অট্টরোল আর লোকদেখানো ছলাকলায় নিজেকে দুর্বল করে,বারবার লেলিহানে দিব্যি মিটে গিয়ে,মেরুদণ্ডহীন হয়ে,বুঝে নিয়েছি সব অপ্রাপ্যতা
হিসাবের গড়মিলে,আমি ত তোমাকে হারাতে চাই নি,আমি ত তোমাকে বধ করতে চাই নি,বরঞ্চ তুমি আমাকে হেনস্তা করেছ,গলা টিপে টুটি চেপে মেরেছ,নাহ,সত্যি মারো নি কিন্তু ষড়যন্ত্রের
অপঘাতে পরাস্ত করেছ,মায়াবী কথার জালে আটকে করাঘাত করেছ,চূর্ণবিচূর্ণ করেছ অমলিন মহিমাকে,
আমি কি বলি নাই,চাই না কক্ষ,চাই না ফানুসে উড়া শত আশার মিথ্যেভরা আকাশ বেবাক স্বপ্ন,চেয়েছিলাম শুধু একটু স্থান
তোমার হৃদয়ে,আর তুমি;ঐ আবক্ষলম্বিত কালে শুধুই ছক এঁকেছ কিভাবে কিভাবে আমাকে বিপদে ফেলবে,কিভাবে আমাকে পথ থেকে
বিচ্যুত করবে,আমি কি বলি নি আমার পথ, তোমার পথ আলাদা,তবুও ত আমরা পাশাপাশি চলতে পারি,নদীর মোহনায় মিলতে পারি,
এবং আমরাও দেখা করতাম
সাদা-নীল ঐ সুদানে,
ঐ গিরিতট খার্তুমে,
কিন্তু তুমিত বুঝ নাই,
শুধু শুধু ধিক্কার দিয়েছ,
কষ্ট দিয়েছ,
তাদের কথা শুনেছ;
তাদের কথা রেখেছ,
তারা নাকি বলেছে,আমি তোমার অনুরক্ত না,
তারা নাকি বলেছে,আমি তোমার যোগ্য না,
তারা নাকি বলেছে,আমি শ্রম করি না,
তারা নাকি বলেছে,আমি সুবিধা নিতে চাই,
আমি তোমাকে পরাজিত করতে চাই,
চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে চাই,
তুমিও তাদের কথা শুনেছ,শুধু শুধুই আমাকে শাসিয়েছ,লাটিমের মত ঘুরিয়েছ এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে,আমার ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়েছ,
আমি এত সহনশীল আগে জানতাম না,
তারপরো,তুমি আমাকে গ্রহন করো নি,
তারপরো,তুমি আমাকে একটিবারও স্নেহের
পরশ দাও নি,আমি বারবার তোমার
দ্বারে এসে ঘুরে গিয়েছি,তুমি ফিরে তাকাও নি,
তারপর,কারো কাছে শুনেছ আমার কথা,
আবারো,তার কথায় কান দিয়েছ,এবার
কিন্তু আমি আর ফেলনা নই,কারন বুঝেছ
আমি কতটা যোগ্য,আমি কতটা শক্ত,
এরপর আমাকে কাছে ডেকেছ,একবার নয়, অনেকবার,কিন্তু আমি আর ফিরে তাকাই নি,
কারন আমি ত চাই নি,তোমার থেকে কোনো সুবিধা,আমি ত চাই নি,তোমার থেকে দীক্ষা,
আমি ত চাই নি,তোমার ভ্রান্ত বিলাসিতা,
খুব কি বেশি চেয়েছিলাম?
একটুখানি ভরসা,একটুকরো ভালোবাসা,
দিলে ত নাই বা কিছু,দূর হতে আরো দূরে ঠেলে দিয়েছ,শেষবার আমার পাগলামি ছিল শুধুই তোমাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেওয়ার জন্য,
আমি আর চাই না তোমার ঠুনকো ভালোবাসা,
আমি আর চাই না শুনতে তোমার মনভুলানো মায়াবি কথা,আমি আর জানতে চাই না তোমার-আমার মধ্যেকার হিসাব,আমি এবার শুধু নিজের জন্য লড়ব,নিজের জন্য জানব সব অধিকার,
আমিও স্বার্থপর হবো,আর তারজন্য যা যা লাগে তাই করব,জানো কেউ কেউ সফল হয়,অনলে পুড়ে,কেউ কেউ অদম্য ইচ্ছায়,আমি সফল হবো তোমার দেওয়া বেদনায় সিক্ত হয়ে;
ভুলে কি গেছ আমায়?ভুলে যেও না,
আবার আসব আমি,
তোমার কাছে নয়,তোমার দুনিয়ায় নয়,
আমার পরিচয়ে,আমার বানানো জটলায়,
আকাঙ্ক্ষায়,আমার তৈরী প্রাসাদে নাচবে তোমার নামের নুপুর,আমার কৈলাসে ভাঙবে তোমার ভগ্ন হৃদয়,তোমার থেকে বড় হবো;ঐ গৌরবের চাঁদ অন্যের চাঁদরে মোড়া অহংকারী সত্তাকে শত প্রিজমের আলোয় বিলীন করে দেব,
এ টিলা উচু হবে;দেখবে না সূর্য,
এ পাথর গহবর হবে,মনে রেখ,
এ সাম্পান তোমার ঢেউ লাগানো খিলি
দেওয়া ভুমধ্যসাগরে ভাসবে,দেখে নিও,
শুষে ফেলব সব অক্ষমতা,নক্ষত্র বীথি কনা,
আমাকে তুমি ভুলে যেও না,
কারন আমিও তোমার চোখের অশ্রু,
আমি হরিষ শস্যে তোমার নাম লিখাব ধমনীর রক্ত দিয়ে কেবলি তোমার দেওয়া ধীক্কার চিরঞ্জীব রাখতে,যেকোনো দিনে বুঝবে নিষ্ঠুর তুমি আমার পতনে লুপ্ত ছিল তোমার প্রতি অগাধ ভালবাসা।
বুকের নদীতে সাঁতার কাটছে পরাস্ত ভালবাসা।