আমি দ্রোহের ভাষায় প্রেমের গান লিখে যাই,তুমি চিরায়ত ভাষায় প্রেম রচনা করো,
আমি শ্লেষের পথ বেছে নেই,কারন প্রেমও একপ্রকারের সংঘর্ষ,
দৈনিক সংগ্রামে কয়জনায় পারে প্রেম টিকিয়ে রাখতে,কয়জনায় পারে আলুভর্তার সংসারে ভালোবাসার প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে তপস্যার অন্ধকারে?
তখন অনেকে বলে ভালবাসা জানালা দিয়ে পালায়,সত্তার জাগরণ দেহের ক্ষিতিশ কিছু উত্তেজনায় যৌন চেতনায় লীণ হয়ে যায়,
প্রেমের পরাজয় দেখার জন্য এ সমাজ লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে,
চেয়ে থাকে এ অবক্ষয়ের সমাজ।
প্রেমকে আজকাল তারা সস্তা করে দিয়েছে কাচের চুড়ির ফালিতে,কাজলের লেপনে,বড় টিপটির গোলাকারে,
প্রেমকে বড় সস্তা করে দিয়েছে মড়ার্নিজমের অর্গাজমে,
প্রেমকে বড় সহয করে দিয়েছে শব্দ দালালেরা সাহিত্যের পাতায়,
যেখানে তারা নাকি বলে জোছনা রাতে সংগম না করলে প্রেমে মজে না লাইলি-মজনু,হারিয়ে যায় কূজনে,
প্রেম কে বড় সহযে বিকিয়ে দিয়েছে কেবল দেহের বর্ননা দিয়ে,রংছটার মহীমায় আজকাল মানুষ আবেশকেই প্রেম মনে করে,
অথচ কোনো কালে এ প্রেম ছিল না সস্তা,
কোনো কালে প্রেম ছিল না স্ফটিকের মত স্বচ্ছ,
কোনো কালেই দুর্বলেরা প্রেম করতে পারে নি;প্রেম ছিল না এতটা সহযলভ্য,
আমার কাছে জগতের সব ছায়ার নিচে, সংগ্রামের আড়ালে,মেঘের গর্জনে লুকানো আশ্রয়হীন সত্য,কিছু কপোত-কপোতীর অপারগ চেষ্টার ফলাফল প্রেম লাগে,প্রেম-প্রেমময় আদিখ্যেতার জন্য এখন সময়ের সময় নাই কারন প্রকৃতিও আজকাল বৈরাগ্য ধরেছে,
দেখ না ঋতু আজকাল কেমন একঘেয়ে,
মাঘের মাসেও বৃষ্টি নামে,
স্বাভাবিকতা যেন কোথায় হারিয়ে গেছে,
বিরহকেই যেন প্রেম লাগে,
বেঁচে থাকার সংগ্রামে,স্বপ্নপূরণের অধ্যবসায়ে একজনের হাতে কলম আরেকজনের মাথার ঘাম পায়ে প্রেম লাগে,
আমার কাছে যাবতীয় কষ্ট,অনাচার,চোখের অশ্রু পুতপবিত্র লাগে,
তাতেই মনে সন্তুষ্টি আসে,
তাতে মনে ভালোবাসার পরশ লাগে।
আমি সব আক্রোশে,সব পরাজয়ে,সব চেষ্টায়,সব সাফল্যে প্রেম খুঁজে যাই নিখাদ চোখে।