নতুন আইন, প্রকৃতির বিচার


কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামি অবাক তাকিয়ে রয় এজলাসে দাঁড়িয়ে হাকিম বিচারের রায় দেয়। অপরাধীর শাস্তি কি,জানে না তো কেউ
বিষয়টা  "মানবাধিকার "
প্রতিনিয়ত মনুষ্যত্বকে হত্যা করা হচ্ছে,
আজকের আসামি এতটা ভাবেনি এবার‌ও
এ আবার কি এমন শাস্তি হবে,
তাই হরহামেশা চলে ঘরে বাহিরে
বিবেককে খুন করা, ধর্ষণ করা
আসামি পক্ষ তা জানে ।
এবার দেশের আইন এত তৎপর হবে
আসামি পক্ষ জান তো না তা বটে ,
এতদিন হল আসামি কারাগারে
কত কিছুই না জেনে গেছে  এর মাঝে।
কখনও শুনেনি এমন অপরাধে -
কাঠগড়ায় উঠতে হবে , জনসম্মুখে।
তাই আজকে পুরো আদালত প্রাঙ্গণে
মানুষে মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ,
উচ্ছ্বাসিত জনতার মুখে মুখে শুনে
বিচার দেখতে এসেছে এইখানে।
দেশে প্রচলিত আইনের বাহিরে
এমন এক বিচার হবে -
তাইতো মঞ্চ করা হয়েছে বাহিরের প্রাঙ্গনে।
কি হবে-কি হবে আজকে -
সবার মাঝে কেন জানি
একটু বেশি উৎকণ্ঠা বিরাজ করে ।
অপেক্ষার পালা শেষ করে বিচারক এসেছেন বিচারকার্য সমাধান করতে -
টিভি,সোস্যাল মিডিয়াতে লাইভ দেখানো হবে।
হে আমার দেশের জনগণ
আপনারা আজকে যে বিচার দেখবেন
বড়ই দৃষ্টান্তমূলক,তা জেনে যাবেন।
সঠিক বিচার, ন্যায় বিচার, দাবি আদায়ে
  দেশে এখন একটি ইতিহাস তৈরি হবে
যুগ যুগ ধরে রাখবে মনে আর প্রানে।
ধর্ষণ,খুন,হত্যা জমি দখল, প্রচলিত
আজকে আসামির বিচার হবে
মানবাধিকার লংঘনে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিচারের রায়
যাবজ্জীবন ,ফাঁসিতে ঝোলানো হবে নাকো।
আজ থেকে নির্জনে আসামি বাস করবে প্রকৃতির জীবজন্তু ,সাপ,শকুন,হায়নার সাথে
আগামী পাঁচ বছরে একটি নির্দিষ্ট এলাকায়  ছেড়ে দেয়া হবে,
কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবে সেইটাই বা
কে জানে-----
অনেকদিন পর জানা গেল সেই আসামি-
প্রকৃতির জীবজন্তুর আক্রমণ হয়েছে মৃত্যুবরণ
বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা, রক্ষা হয়নি কোনক্ষণেই।
তাকে একটা ডাইরি দেওয়া হয়েছিল -
লিখে যাবে যত দুঃখ, কষ্ট বেদনা কথন
ইতিহাস হয়ে থাকবে তার যতো যতন।
আর কোনো অপরাধ ঘটবে না এদেশে
সোনার দেশের সোনার জনগণ
শান্তিতে বসবাস করবে।
প্রকৃতির বিচার প্রকৃতিই করুক
কেনই বা কালক্ষেপণ ??
মানুষের আদালতে- একপেশে বিচার
কে হারে কে জেতে জানে না তো কেউ।


নন্দিনী লুইজা