শূন্যতাকে পূর্ণতায় ভরিয়ে দেয়া


বত্রিশ বছর একটানা কেটে গেল
বলতে পারো কতদিন, কত ঘন্টা, কতটা সময়?
হিসেব করতে করতে জীবনের যোগ বিয়োগ,
ভালো-মন্দ সে আর বলতে, কিভাবে প্রকাশ ।
আকাশে সাত রঙের ভেলা নদীতে উত্তাল ঢেউ,
এর মাঝে সাঁতার কেটে ওপারে যাওয়া
একটা যুদ্ধ জয়ের মতোই রণক্ষেত্র ।
ভয় কখনো পাইনি, দেখেছি মরণাঅস্ত্র
দেখেছি গোলাবারুদ আর কাঁটাতারের বেড়া,
দেশভাগের সময় যেমন করে শরণার্থী
আশ্রয় খোঁজে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে
এখানে ভালোবাসাটা- সহানুভূতি আর করুণা।
এতটুকু আশ্রয় প্রশ্রয় না পেলে নাস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত -
আজ যে দেশের নাগরিকই হই না কেন?
বেঁচে আছি শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়মিত চলে।
লিখতে, পড়তে, শিখে ভেতরের তাজা রক্ত প্রবাহ
থামাতে পারবে না, মানুষ তাই তো জয় গান।
ক্ষতির কি আছে দেশের জন্য মাটির জন্য প্রাণ কাঁদে।
বুক ভাসিয়ে, রোদন করে, নিজের ক্ষতি ছাড়া  কি প্রাপ্তি ?
তার চেয়ে এই ভালো যেখানে থিতু বসতবাটি গড়ি, খরকুটো দিয়ে ভালোবাসার ইমারত,
গড়ে যেতে চাই আমাতে তোমাতে লেখা থাক
স্বর্ণাক্ষরে যুগে যুগে ইতিহাস গড়ি।
এইখানে হাজার‌ও যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত যোদ্ধা
তবুও আত্মসমর্পণ করেনি, একেবারেই না ।
নিজেদের যা আছে,ছিল তাই দিয়ে তিলে তিলে
গড়েছি স্বাধীন রাষ্ট্র, সেই রাষ্ট্রের স্বাধীন নাগরিক-
দুটো প্রাণীকে স্বাধীন করতে পেরেছি ,
এক জীবনে এর চেয়ে আর কিবা করার আছে ।
এই মুক্ত বিহঙ্গ প্রাণীরা পারবে না- পারবে !!
তাদের রেখে যাওয়া পূর্বপুরুষরা ইতিহাস,
বিকৃত হবে না, না না-
আবারও ঘষে মেজে যে সত্য যতটুকু পাবে ,
তাতেই দাঁড়িয়ে- বিজয় নিশান‌ উড়াবে,
তবু মাথা নোয়াবে না অন্যায় আর আপোষকামীর কাছে।


০৯/০৭/২০২২
নন্দিনী লুইজা