রাধুনী রয়েছে অগুন্তি,
তবু কারো নাই খুন্তি!
কীভাবে যে সৌরতাপে
                    রান্না করে খাওয়ায়!
যেটা খেয়ে ভালো থাকি
                   দোলা খাই হাওয়ায়!


মূল যিনি সব তারই হাতে,
যোগানটা দেয় দিনে-রাতে,
খনিজ-লবণে জলে ভরে।
                   কমতি রাখেনা দানে,  
অর্জিয়া পুষ্টি তাতেই
                       আমি বাঁচি প্রাণে।


কভু কভু ভয়ে ভয়ে থাকি!
ঋতু এসে হানা দেয় নাকি!
শরতের আগমনী বার্তায়-
                   রাধুনীরাও ছুটি চায়,
অবসর পেলে তারা
                   মাটিতেই নেয় ঠাঁই।


মাটিতে গিয়েও তবু ভাবে;
কেমনে এখন তারা খাবে!
ঋতুর ডাকে দিয়ে সাড়া,
                    তবু নাহি হয় হীন,
আহার্য্য দ্রব্য সঞ্চয়েই
                   মাতৃদেহে হ্য় লীন।


ঋতুশেষে সবুজের সাজে-
ডুবে যায় এসে একই কাজে,
নবরূপে রাধুনী হয় পুনঃ
          নিয়ে আসে অসংখ্য সাথী।
প্রকৃতির বাহার করে রাঙা!
         নিজে পায় সেই চিরখ্যাতি।