নারায়ণচন্দ্র হালদার


বাঁচি আমরা কেমনে কেঁদে কয় ভেক দল,
বিষে মশা প্রায় শেষ খালে-ড্রেনে নাই জল।
তাই আজ দেখিনা ছোট ছোট জল পোকা,
ভয়ে মশা পাড়ে নাকো ডিম থোকা থোকা।
বাঁচার আর নাই পথ হায়!কোথা পাই খাদ্য
বল-হীন শরীরে আজ কেমনে বাজাই বাদ্য।
চুপ-চাপ থাকি বসে স্যাঁত-স্যেঁতে জায়গায়!
ভাগ্যকেই দোষি করি, একি হল হায় হায়!
প্রাণী-দেহে যদি মশা এই ডেঙ্গী না ছড়াতো,
কিংবা সমাজের চৌদিকে মরণ না জড়াতো ,
এই ভুল কারণে দেশে এলো ভুল আর ভ্রান্তি,
ডাক্তার-বদ্যি ঘুমহীন তাই চোখে-মুখে ক্লান্তি।
দুরন্তপনা ছেড়ে যদিবা শান্ত হয়ে যেতো মশা,
শান্ত এ সমাজে আজ হতো নাকো এমন দশা।
ঢিল ছুড়ে মারতো যদি অবোধ ছোট ছেলেরা,
মৎস্য চাষও করতো জলেই যদি ওই জেলেরা,
মেনেও নেওয়া যেতো তবু একটু-আধটু কষ্ট,
তিলে তিলে এমন ভাবে মোরা হতাম না নষ্ট।
বেঁচে যেতো মশারা মোরা দম ছেড়ে বাঁচতাম,
মজা করে খালে ড্রেনে গানটা গেয়ে নাচতাম।