বিট্টু বাড়ির দুষ্টু ছেলে, আমার ভ্রাতুষ্পুত্র।
দুগ্ধ খাওয়া পাত্রটিতে ত্যাগ করে সে মুত্র।
আবার কভু জল-বোতলে মুত্র ভরে রাখে,
চাইলে সেটি হাসতে হাসতে দেয় এনে ঠাম্মাকে।
ঠাম্মা রেগে মারতে ছোটেন; ভীষণ গতিবেগে,
মুখের থেকে ঝুড়ি ঝুড়ি গালির কামান দেগে।
অট্টহাসির বোমা ফাটিয়ে বাইরে পালিয়ে যায়,
সেই আঘাতে বাড়ির মধ্যে হাসির-জোয়ারে ছায়।
কাউকে কভু মানছে না সে, জেম্মা-জেঠু-বাবা ,
আচমকা সে মুখের উপর মারছে কভু থাবা।
এক দুপুরে ঠাম্মার কোলে খাচ্ছে বসে ভাত,
মারলো হঠাৎ মাথার ঢুঁসো ঠাম্মার ভাঙল দাঁত।
ঠাম্মায় নিয়ে ব্যস্ত যখন কোথায় গেল চলে-
খোঁজের জবাব, “এই যে, আছি খাটের তলে”।
পটির দরকার হলেই বিট্টু লুকায় ঘরের কোণে,
কার্টুন দেখার সময়ে থাকে অচঞ্চল একমনে।
ভাঙছে কভু বাসন-পত্র ভাঙছে খেলনা-পাতি,
বাধ সাধলেই তাকে এসে মারছে জোরে লাথি।
পড়ার বেলায় ধীর গতি, জেদের গতি দ্রুত,
খাবার খেয়ে বা ফেলে হ্য় আনন্দে আপ্লুত ।
দুষ্টুমী তার জোর কদমেই চলছে দিবারাত্র
শান্ত বাড়ি, শান্ত নিজেও, নিদ্রাকালীন মাত্র।
তবু ভালো সবার কাছেই সবের পাচ্ছে ছাড়,
মধুর মুখে ডাকছে যখন জড়িয়ে হাজারবার।
জেম্মা-জেঠূঁ, ঠাম্মা-পিষি দোষগুলি সব ভুলে,
আদর করে জড়িয়ে তাকে নিচ্ছে বুকে তুলে।
দিচ্ছে আশিষ সারা জনম এমনই যেন থাকে,
বিশ্ববাসী যেন চেনে তাকেই একটি ডাকে ।