গাড়ি চলে ঝিক ঝিক অবিরাম-
              দূর থেকে দূরান্তে্ চালকের খেয়ালে।
ঘড়ি চলে টিক টিক নিজমনে,
              টেবিলে,হাতে কিংবা ঘরের দেয়ালে।
নামানো উঠানো কাজে গাড়ি,
                  স্টেশনে স্টেশনে থামে আর ছাড়ে।
মৃত বলেই ঘোষিত হয় ঘড়ি,  
                 যদিবা থামে বা থামেই বারেবারে।
গাড়ি চলে পেটে নিয়ে সন্তান,
                যারা বাহিরে আসে ভেতরেও ঢুকে।  
তিনটি সন্তানে বলিয়ান ঘড়ি,
                সকলকে নাচান এই পৃথিবীর বুকে।
যোগাযোগ করিয়ে দেয় গাড়ি,
                 আপন অহঙ্কারে গড়িয়ে তাই চলে।
অদৃশ্য সময়, তবু তার অনুভবে,  
                সকলেই বাঁধা থাকে নিয়মের তলে।
দেহ গাড়ি তেমনই এক যন্ত্র,
                  আমৃত্যু চলে সে প্রধানতম কাজে।
জীবন ঘড়িও চলে সেইরূপ,
                  জন্ম থেকে মৃত্যুর বাঁধানো সাজে।