ঘাড়ে বাঁশের দুলকি খাচ্ছে দোল;
মুখে সবাই বলছি্ "বল হরিবোল",
        চলছি হেঁটে শ্মশান ঘাটের পানে।  
নিয়ে ঐ চিরঘুমে আচ্ছন্ন নরদেহ;
পথপাশে গ্রামবাসী দেখছে কেহ,
        ছুটছি তবু উর্দ্ধমুখে ছন্দের টানে।
রাত্রি তখন দুই কি আড়াই হবে,
গ্রাম পেরিয়ে উঠছি রোডে সবে-
       কোত্থেকে বাঁশ পড়ল ভেঙ্গে পথে।
পাশে ঘন বাঁশের ঝাড় এক ছিল,
হঠাৎ করেই পথটা আটকে দিল-
          কাঁপ ধরাল মোদের যন্ত্র-রথে।
সবাই যখন কাঁপছে সেথায় ভয়ে!
কোপ দি বাঁশে আমিও দা'ও লয়ে,
      তক্ষুনি বাঁশ দাঁড়ালো গিয়ে ঝাড়ে।
'ভিতু ভেবে ভয় দেখাতেই গেলি,
ভেবে দেখ না কি-সাজাটা পেলি-`
      বললাম আমি ভয়ংকর চিৎকারে।
ফেরার পথে দিনের আলো দেখে,
ঝাড়ের মালিক রিংকুদাকে ডেকে,
      ফেললাম কেটে সবকটি বাঁশগছ।
দিলাম সেথা মন্দির গড়ার আশা,
রইলনা আর সেথায় ভুতের বাসা,
     হারিয়েই গেল ন্যাংটা ভুতের নাচ।