আজ এক বাবু মশাইয়ের গল্প শোনাই শুনুন--
কাজে-কর্মে বিদ্যেবোঝাই মানুন কিংবা নাই মানুন।
সংসার ধর্ম সব ছিল তার, মন ছিল না ঘরে--
পতিব্রতা স্ত্রী ও ছিল, থাকতো পড়ে অনাদরে।
একদিন নয়, দুই দিন ও নয় ,অনেক বছর ধরে--
বাবুমশাই কাটাচ্ছিল দিনগুলি সব এমন করে।
হঠাৎ বাবুর খেয়াল হলো, বিকেল বেলায় এসে-
বংশ রক্ষা করতে হবে ,খেয়ালিপনায় মিশে।
দিন দুঃখিনী- অভাগিনীর অবলীলায় নিতে হল দায়-
খামখেয়ালী বাবুমশাই বেজায় খুশি তাই।
এমনি করে, নতুন শখের পরশ পেতে গিয়ে
পতিব্রতা সতী নারী গেল চলে, পৃথিবী ছেড়ে।
মায়ার বাঁধন ছিন্ন হল, চিতার গঙ্গা ধারায়--
বাবুমশাই নতুন করে স্বপ্ন দেখে আবার।
যে সময়ে ঈশ্বরেরই, পায়ের কাছে মগ্ন থাকা দরকার
সেই সময় নতুন করে কৃষ্ণলীলার ইচ্ছে জাগে তার।
ব্যথার পরশ ভেসে গেল মাঝ -দরিয়ার মাঝে--
একে একে দাঁড়িয়ে পড়ে-গরিমা, সুলতা, সুচিত্রা ,জ্যোৎস্না, রাধিকার-ই সাজে।
তিন কালের শেষের দিকে, কথাবার্তা হয় যে পাকা গরিমার- ই সাথে--
বরাত জোরে বাবুমশাই হারিয়ে ও ফেলে তাকে।
তবু ও বাবুর শখ যে আছে ষোলআনা খাঁটি--
আর সকলে যারা আছে, বাবু মশাইয়ের জীবনটাকে কি আর করবে মাটি!
---------------------------------------------