যেদিন চলে যাব
নরেশ পাটঘরা


ধরে নাও আমি মারা গেছি !
অমর তো নই !মৃত্যু একদিন হবেই
আগে কিম্বা পরে !সেই দিন
তুমি আমার জন্য কি খুব কাঁদবে ?
না,পাথরের মতন চুপ করে বসে থকবে ?
নাকি,বার বার মুর্চ্ছা যাবে ?
নাকি, তোমার চুলের বাঁধন যাবে খুলে ?
খুব খুব জনতে ইচ্ছে করে !


তুমি কি আগের মতন
একটুও অপেক্ষা করবে খাবার টেবিলে ?
মনে মনে কি বলবে ?
সারাক্ষণ কি যে করো ছাই বুঝি না !
কখন থেকে ভাত বেড়ে বসে আছি !
রাগ আর অনুরাগ মিশ্রিত গলায় বলবে ,
আমার আর ভালো লাগে না !
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত
সংষারের বোঝা বয়ে আমি ক্লান্ত !
নাও ,তাড়াতাড়ি খেয়ে
আমাকে উদ্ধার কর !


আচ্ছা , আমার পোষা বিড়ালটা
যে প্রতিদিন আমার লেখার
টেবিলের পাশে চুপটি করে বসে থাকে,
সে কি করবে ?যখন আমাকে
আর পাবে না ?সারাবাড়ি কি খুঁজে
বেড়াবে আমাকে ?সে বোধ হয়
খুব দুঃখ পাবে ?না ?
আমার একটা কথা তুমি রাখবে ?
আমি যখন থাকবো না ,
তখন তুমি সাদা কাপড় একটি বারও
পরবে না ।আমার ভীষণ কষ্ট হবে
তোমাকে সাদা কাপড় পরতে দেখলে ।
তুমিতো জনো ,তোমাকে সব সময়
সেজে গুজে থাকলে ভালো লাগে ।
আর তোমার মুখের হাসি
যেন কোনো দিন ম্লান না হয় ।
আর একটা কথা
জীবনকে সব সময় উপভোগ করবে
নিজের মত করে ।আমি কিন্তু
খুব খুশি হবো ।তুমি তো জানো
আমি সমাজের এই অদ্ভুত নিয়ম কানন
কিছু মানি না !
তুমি সব সময় ,সময়কে সামনে থেকে
দেখবে ।তুমি খুব রেগে যাচ্ছ না !
আমার এই সব কথা শুনে ?


তুমিতো খুব মাছ খেতে ভালোবসো ।
হরিমোহন বোলো –
সে প্রতিদিন তোমার জন্য মাছ এনে দেবে ।
ও হ্যাঁ ,আর মনে করে
আমার মাধবী লতায় একটু জল দিও
নইলে মরে যাবে ।
কত দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে বলোতো ?


প্রতি বছর যখন আমর জন্মদিন আসবে
তখন ,আমার লেখা গানটা
তুমি গেয়ে আমাকে শুনিয়ো
আমি তোমাকে নতুন করে  ভালবাসতে
শিখবো ।তুমি গাইবে –
প্রতিদিন ফোটে কত ফুল
কত ফুল ঝরে যায় ,
পৃথিবীর কি বা আসে যায়
কে লেখে স্মৃতির পাতায় ।
**************************