মা
নরেশ পাটঘরা


তুমি কি জানো মা?
এখন আমাকে কেউ ভালবাসে না।
তোমার দেওয়া নীল জামাটা আমার
সেই কবে ছিঁড়ে গেছে
সেলাই করে দেবার  কেউ নেই বলে
খুব কষ্ট হয়।
মা ,তুমি একদিন সময় করে
আমার কাছে আসতে পারো না ?
কি তোমার এত কাজ ?
আগে তো তুমি সব কাজ ফেলে
আমার কাছে দৌড়ে আসতে !
এখন কি তুমি আমাকে ভুলে গেছো?


জানো মা !
আমার শরীরটা এখন
ভীষণ রকম ভেঙে গেছে ।
হাতে ,পায়ে ,ভীষণ ব্যথা
তোমার মতো তো কেউ নেই !
যে ,পাশে বসে সব যন্ত্রণা ভুলিয়ে দেবে!


তোমার মত করে কেউ আমাকে
বোঝেনা ,সবাই ভুল বুঝে
দূরে চলে যায়। কি জানি!
হয়তো আমি আর সবার মত নই!


তুমি কি জানো মা ?
এখন আমি একা একা পথ চলতে
ভয় পাই ।রাতে অন্ধকার
শুধুই আমাকে হাতছানি দেয়।
কতদিন অন্ধকারে তোমাকে স্পর্শ করব বলে
হাত বাড়িয়েছি।
ঘরের পাশের শিরিষ গাছ টা মাথা নেড়ে নেড়ে আমাকে বলছে, নেই ....নেই ....নেই...


কতদিন যে আমি হাসিনি
মনে করতে পারি না !
পাথরের মত চুপ করে
বসে থাকি ,আর ভাবি
আমি কি আদৌ মানুষ
না অন্য কিছু!