আমরা হাসতে চেয়েও
কখনোই হাসতে পারিনি বোধহয়,
কারণ, আমাদের বুকের স্থাবরে পোঁতা রয়েছে
সেই আদিকাল থেকেই
একটা করে মন খারাপের বীজ–
যার এক পত্রে ছিল হিংসা,
আর অন্য পত্রে ছিল হিংস্রতা!


যে প্রতিনিয়ত অঙ্কুরিত হতে হতে
আমাদের কে নিয়ে চলে
বিষন্নতার এক গহীন বনে,
পৃথিবী ছারখার করা বিষবৃক্ষের অরণ্যে!


যার প্রতিটা পাতার শিরায় প্রবাহিত
অহমীকার বিষাক্ত খনিজ
ক্রমে ক্রমে বাড়িয়ে চলেছে শাখা-প্রশাখা;
গভীরতর শিকড়ের ব্যাপ্তি!


যাকে উৎপাটন করতে
উপড়ে ফেলতে হতে পারে হয়তো
সমূলে পুরো হৃদয়টাকে,
জন্ম নিতে হতে পারে পুনরায়
নতুন করে–
যার প্রস্তুতি নিতে নিতেই কেটে গেছে
কয়েক কোটি পৃথিবীর বয়স!


আসলে উৎপাটন করার মতো কায়িকতা
কোনকালেই তো ছিল না আমাদের!
কারণ আমরা লালনকারী
আলো আর অন্ধকারের বিমর্ষ ব্যাকুলতায়
মাকড়সার জালের মত প্রতিনিয়ত
ফাঁদ বুনে চলি শিকারের,


কেবল মেকি সৌজন্যতা নিয়ে
চলি আজও
মিথ্যা হাসির আড়ালে!
যেটা আসলে হাসি নয়,
যেটা আমারও হাসি ছিল না কোনকালেই –
ছিল শুধু শিকারির থাবার দন্তরূপী
হিংস্র নখর সত্তা,


যার ব্যাপ্তি আজ সমস্ত হৃদয় জুড়ে!!