যুদ্ধ তো শুরু হয়েছিল সেইদিন
অন্ধকারের চোরা কুঠুরিতে;
কোষ বিভাজনের বহু আগে
লক্ষ লক্ষ শুক্রানুর প্রাণপণ অধিকারের লড়াইয়ে–
মাতৃগর্ভে একটা কাঙ্ক্ষিত স্থায়িত্বের দাবিতে;


ছুটেছিলাম প্রাণপণে
একে অপরকে পিছনে ফেলে
সেই অস্তিত্বের দ্বীপে;


জয়ী তো সেদিনই হয়েছিলাম!
একটা ডিম্বাণুর অধিকারে
শ্রেষ্ঠত্বের ঐতিহ্যে
পৃথিবীকে জয় করার এক মহা অধ্যায়ে!


সেখানে কোন অস্থি ছিল না,
রক্ত ছিল না,
কোন ইন্দ্রিয় ছিল না,
সূর্যের আলোও ছিল না;
ছিল সীমাহীন টিকে থাকার লড়াই
পরিপূর্ণ হবার চরম বাসনায়,
সেদিন জয় করেছি এক
মহাজীবনের পূর্ব সূচনা;


মা রূপী পৃথিবীর
মায়াময়ী স্নেহের স্বপ্নীল পৃথিবী,
আবির্ভাবের এক মহা সুপ্ত বাসনায়!


আজ আমরা সম্পূর্ণ চেতনায়, কাঠামোয়,
ধরিত্রির সমস্ত রসদের পরিপূর্ণ সহায়তায়;


তাহলে আমরা কেন আজ
নিজেকে দুর্বল ভাবি?
কেন হতাশ হই?
কি নেই আমাদের কাছে?


জীবন মানেই যে যুদ্ধ,
থেমে যাওয়া নয়,
লক্ষ্যের সীমানায় পৌঁছানোর শিক্ষা
দেয়নি কি মাতৃ জঠর তোমায় আমায়?


সেখানে পিতা ছিল, পিতৃত্ব ছিল না;
মাতা ছিল, মাতৃত্ব ছিলনা;
জগতের হাতছানি ছিল, পৃথিবী ছিল না;
জীবনের প্রয়াস ছিল, জীবন ছিল না;
পূর্ণতার আহ্বান ছিল, পরিপূর্ণতা ছিল না–


ছিল শুধু টিকে থাকার বোধহীন অদম্য ইচ্ছা শক্তি!
নিজেকে পরিপূর্ণ করার এক অবুঝ প্রত্যয়!


তাইতো এ পৃথিবী এখন আমার, তোমার, তোমাদের–
–হতাশ কেন?
তুমি তো সেই বীর–
যে অস্তিত্বের রসদ ছাড়াই
জয় করে নিয়েছিল জীবন;
জনম, পৃথিবী, মৃত্যুর স্বাদ!


তবে কেন?
কেন নিজেকে এখন নিঃস্ব রিক্ত পরাজিত ভাবো??