বন্ধু, এ পথ নয়তো শেষ হবার
হাজার পদচিহ্ন এঁকে যে পথ
করেছো পার,
কতো নবাগত এসে মিলিয়েছে পদ তাতে
দেখেছো কি?
আমি যে দেখেছি
নিপিড়ীতের ঘামে
ধুয়ে গেছে কতো ইতিহাস!
ক্ষুধার প্রহর ফিরে গেছে
কোন শ্মশানের বাঁধানো শানে
কিংবা কবরের নীরব কান্নায়,


চেয়ে দেখো হৃদয় ভেদ করা কান্নার
ফসিল যেন এ সভ্যতা!
রক্তে ঘামে
যেখানে লেখা কোন ক্ষমতার নাম,


কোনো বেদীর অন্তরালে
যেন আজো কেঁদে ফেরে
কোন নির্মম হত্যার আর্তনাদ,
ক্ষমতার শাণিত তরবারির তৃষ্ণায়
রঞ্জিত কোন অচেনা অজানা অধ্যায়;


তবু হাল ছাড়েনি ওরা
কলুর বলদের চোখে বাঁধা ঠুলি
আজও জাগায় দেশপ্রেম!


ওই ইমারত
যেন কত বঞ্চনায় মূর্তমান,
তবু বঞ্চিতের নেই কোন মান,
মুঠো মুঠো রক্ত কণায় লেখে
পলাশ শিমুলে নাম,


পৃথিবীর হাল কাঁধে নিয়েও
ওরা আজও জেগে ওঠেনি হয়তো,
নয়তো জেগে উঠেছে
মহাজগতের যাত্রার সূচনায়,
তাই বঞ্চিত আর বঞ্চনার হিসাবের
আসেনি সময়!


এগিয়ে চলার মাঝে
যে শাসন যে ধারণ, শিখিয়ে
ওরা হয়তো নামাবে টেনে--
যাত্রার আলোক অভিসারে,
যে পথে হেঁটে যাবে সেও--
যে হাঁটেনি কখনো পথে!!