আমি গগনচুম্বী পাহাড়ের কোলে দাঁড়িয়ে
ওপারের তুমি টা কে দেখতে পাই,
দেখতে পাই তোমার আলতা মাখা পা দুখানি
যেন সবুজ ঘাসের আদরে মাখা!
গোলাপের পাপড়ি বিছিয়ে রেখেছি মনের জমিনে,
আলতো করে স্পর্শ করেছি ঠোঁট--
যেখানে তৃষ্ণার মরীচিকা
যেন বালুচর!


সূর্যের আলোর মায়া
জানি তোমাকে স্পর্শ করে অকাতরে,
বাতাস সিক্ত হয় তোমার সুগন্ধী স্বেদ মেখে,
আলুলায়িত কেশে রাত্রি আসে
হাসনাহেনা বেলীর সুবাসে!


অথচ তোমাকে স্পর্শ করতে
যে দুর্দম শক্তির প্রয়োজন,
জানি না তার কতখানি আছে আমার,
তবু পাহাড়ি ফুলের মালা গেঁথে চলি
তোমার অবাধ্য এলো চুলের রাশি বেষ্টনে,


তুমি কত দূরে জানি না,
আমার হৃদয়ের সরোবরে তোমার স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি
তবু যেন দিবানিশি আসা-যাওয়া করে --
হেমন্তের শিশিরের মত নিঃশব্দে,
শিউলির অকপট অভিমানে!


সীমান্তের প্রহরী আমি!
নিয়মের বেড়াজালে আদ্যোপান্ত বন্দি,
তবু হাজার রঙের রামধনু আঁকা
হৃদয়াকাশে ,
তোমার স্নান সিক্ত চুলের ঘ্রাণ পাই
প্রতিটা শ্বাসে
বাতাসের স্নেহময়ী চুম্বনে!


প্রতিটা হৃদস্পন্দনে
আর ত্বকের ভাঁজে ভাঁজে
তোমারি উপস্থিতির মায়া বিবাগ করে তোলে!


আরও বিবাগ করে তোলে মাতৃভূমির মায়ার সম্মোহন,
হয়ে উঠি অকুতোভয় বলিষ্ঠ
প্রহরার নির্ভেজাল দ্যোতক,
প্রিয়া, শুধু তোমারি উপস্থিতির অবয়বে!!