এখান থেকে আমি শহরতলী দেখি!
দেখি নগরীর ইটকাঠে গড়া দালানকোঠার ভীড়
সেখানে এক চিলতে বারান্দা
একটুখানি জানালায় বন্দী আমি
দেখি আকাশটাও যেন আটকে আছে
কেমন নিঃশব্দ এক প্রকৃতিতে
যেখানে মানবতা আজ অন্ধ
ভালোবাসা আজ বধির।


আমি ব্যস্ত শহরে অতিব্যস্ত নাগরিক
সূর্যের আলো কুয়াশার রেশ হিমেল বাতাসের ছোঁয়া
আমাদের স্পর্শ করেনা।
আমাদের ফুসফুস ছেয়ে আছে কালো ধোঁয়ায়
স্বার্থ ভিন্ন কেউ আমাদের নাগাল পায় না।


হাজারো বন্ধুর ভীড় আপন যে কোন জনা
একাকীত্বের বোঝা আমরা বয়ে বেড়াই
আমরা বড় আনমনা।


আচ্ছা সেখানে কী বহেনা দখিন হাওয়া?
প্রেম নাড়ে না কড়া অথবা নিছক মুগ্ধতায়
থাকে না চেয়ে হৃদয় কর্ণকুহরে প্রবেশ করে কবিতা সুধা
গান, কাব্য পঙক্তি!
নাকি নিছক হেসে মনকে ঠেসে হারায়-
এক আকুতি।


না প্রেম আসে আসে ভালোবাসা হয়তোবা খানিক ভালো লাগা
খানিক কাছে আসা
কিন্তু সে যে ক্ষণিকের মোহ আপনাই হারায় গতি
নিকোটিনের কালো ধোঁয়ায় ঝাপসা সোডিয়াম আলো
বাঁচে একাকীত্বের অনুভূতি।


মন বলে এইতো আছিস ভালো
শুধু নিজেকে নিয়ে বাঁচিস
খানিকটা মন উদাস খানিক টা মন খারাপের
দিবা রাত্রি।


না কারো তরে রয় অপেক্ষা, না চাওয়া, না প্রাপ্তি
প্রকৃতি মেলায় সখা- সখী প্রকৃতিতে মনের মুক্তি।


এক দিন তো ধুলোয় মিশে যাবো
রবে অপূর্ণ শত আকাঙ্খা,
থাকবে না চাওয়া পাওয়ার ভার-
রয়ে যাবে এই নগরী, সুবিশাল ঐ আকাশ
রবে প্রকৃতি বয়ে চলবে মানুষের ভার।


আজ আমার তাড়া নেই আজ আমি
শহরতলী দেখি।
আজ আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি তোমার কবিতা
আর ভাবি-
আর কিছুদিন থাকি না বেঁচে দেখি মুগ্ধ হয়ে তোমায়
শুনি তোমার মনের ঝঙ্কার
তুমি যে আমার স্বপ্নের
প্রকৃতি।