এই ধরণী সংসর্গের
এই ধরণী সহিষ্ণুতার
হেথায় দিয়ে গেল যারা প্রাণ
রক্তাক্ত প্রান্তরে উৎসর্গে জীবন
তারা আমাদেরই সন্তান
ভাই বোন অথবা বন্ধুজন
থাকতেই পারে মতের বিস্তর যোজন
স্বদেশ ধর্ম আছে যার যার
জগত সংসারে সকলে সবার।


রাজনীতি কিংবা কর্তব্যের ছলে
কেন পুড়ে ছাই দ্বন্দ্বের অনলে ?
স্রষ্টাকে না খুঁজে নীরব প্রার্থনায়
খুঁজি কেন তাঁকে তর্কে- আনুষ্ঠানিকতায় ?
কলের পুতুল সম দেবতার পূজারী
যেমনে শেখানো বুলি তেমনে আচরি।
জাতি- ধর্ম- বর্ণ- গোত্রে কোন ভেদ নাই
বিভেদ শুধু বিবেক আর চিন্তা-চেতনায়।
সকল ব্যাবধান হবে তিরোধান
কেবলি জ্ঞানের সাধনায়।


আজ যারা বিশ্বে সুসভ্য মহান
ঈশ্বরের প্রতিনিধি তারা ছায়া ভগবান
বিশ্ব জ্ঞানের বাহক তারা, তাদের পরে ন্যুব্জ মোরা
তারাই পারে স্বস্তি দিতে
জগত আলোয় ভরিয়ে দিতে
তারাই পারে ফিরিয়ে দিতে মানবজাতির মান।


অসহায়, পরাধীন, অকিঞ্চন যারা
ধ্যানে জ্ঞানে পিছিয়ে তারা
জ্বালবো জ্ঞানের প্রদীপ মোরা আপন আপন দ্বারে
প্রেমের পথে যুঝতে হবে বিরূপ এ সংসারে
এটাই সাধন এটাই ধর্ম এটাই মোদের নিত্য কর্ম
সফলতার তরে।


পরের অস্ত্রে বড়াই করি
জ্ঞানের শাস্ত্র কেউ না ধরি
ধ্বংস করি সৃস্টির তরে ?
ধ্বংস কেবলি ধ্বংসই করে।


বজ্র নিনাদ ঐ গরজে গগনে
মুক্ত করিতে মোরে আত্ম জাগরণে
বাঁচিবার পথ শুধু অভিযোজনে
গড়বো জগতটাকে সংযোজনে
ধ্যানে জ্ঞানে নিমগ্ন মনে
মিলন হবে তাঁহার সনে, আছে যে সবখানে।