হে বৈরান,
তুমি আধার ধরনীর বুকে মিশে থাকা, অগ্নি ছোয়া হিমবাহরের স্তর গলা, শ্যাম বাংলার বুকে বয়ে চলা ছল, ছল নদী।
তুমি দুই কূলের জল পলিতে ডাকা অপরূপ প্রকৃতি।
তুমি লন্জ,জাহাজ, পাল তোলা নৌকার পথের দিশারী।
তুমি এক পারে দুঃখী, অপর পারে সুখী।
গ্রাম গন্জ, বসত বাড়ী,ফসলের জমি খেয়ে ফেলা রাক্ষসী।  
তুমি রুদ্র -রূপ, দীর্ঘ নিঃশ্বাস থমথমে।
তুমি বাতাসের ঢেউ, দূরন্ত স্রোত, বয়ে চলা নদীর কল্লোলের সুর।
তুমি সোনালী প্রভাতে, নব রবীর সুভ্রতা। তুমি গোধূলী লগ্নে রক্তিম রঙে, রঙিন পানির শোভা।
তোমার বুকে লাল টিপ  ডুবা সূর্যাস্তের বিচিত্র শোভা।
তুমি আদর সোহাগী, অপরূপ শ্যাম বাংলার আঁচল।
তুমি শিল্পীর রংতুলি,  কবির কালি, মাঝির সুরে মিশে থাকা মায়াবী নদী।