ক্লান্ত শরীরে জীর্ণ গৃহের দ্বারে,
      রঙ্গিন স্বপ্ন ছিল গৃহিণীর চোখে।
      আঙ্গিনায় শস্যের গোলা,সবজিরপালা,
     ভোরের হিমেল হাওয়ায়,বকুলের গন্ধে।
     গৃহকর্তা বাইত লাঙ্গল সকাল-সন্ধ্যে।
      ---আজ সে দিনের কথা মনে পড়ে।।


     ছিল গোলাভরা ধান,পুকুরে মাছ!
     গোয়ালে গরু-মোষ,বাগানের পাশে মাঠ।
     একপাল পায়রা গোশালার কোনে,
     সাঁজের-বেলা পৌষ্যরা জমতো আঙ্গিনায়।
     চাঁদনিরাতে অসুস্থ গৃহিণী বিছানায়!
        ---আজ সে দিনের কথা মনে পড়ে।।


     ছিল ডানপিঠে ছেলে-মেয়ে,
    পাখিদের কাকলি নানা ফুলের গন্ধে।
    ফসলের মাঠে,পৌষ্যদের সনে সনে,
    পুতুলের বিয়েতে করতো নৃত্য-গান।
    রুগ্ন গৃহণীর হৃদয়ে অনন্দের বান,
       ----আজ সে দিনের কথা মনে পড়ে।।

    একদিন অমাবস্যার রাতে গৃহিণী নিথর।
    শোকে মগ্নে পৌষ্যরা ফসলের মাঠ,
    পুকুরপাড়ে বাগানের কোনে সমাহিত;
    কাল-বৈশাখীর ঝড়ে গৃহ-হারা সকলে,
    বজ্রপাতে ছেলে-মেয়ে গেল অকালে।
       ----আজ সে দিনের কথা মনে পড়ে।।
    
     আঁকড়ে ভিটে পেশা এখন মুঠে,
     বাবুদের হুকুম মানছে দিনে-রাতে।
     জুটলো শেষে অনাথ কিশোর লালু,
     খুঁনসুটিতে যায় সময় অতীতের যন্ত্রণা;
     হতবাক মুঠেকে দিচ্ছে কিশোর সান্ত্বনা।
         ----আজ সে দিনের কথা মনে পড়ে!