মধ্যরজনী নিস্তব্ধ চারিদিক,রাস্তাঘাটশুনশান্,
মাঝে-মাঝে বিদ্যুতের ঝলকানি শান্ত-শ্মশান।
শুরু হল জোরালো হাওয়া,মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি :
ভাঙ্গলো মুকুলের ডাল,গৃহের বাইরে উদাসদৃষ্টি
জেলেদের নৌকায় জ্বলছে মিট্-মিট্-আলো,
হাওয়ার অনুকূলে তরী বয়ে গেল।
থামলোবৃষ্টি,উঠলো পশ্চিমে আকাশেবাঁকা-চাঁদ,
নর-নারী মিলে মেরামত করছে ভগ্ন বাঁধ।
চারিদিক ঝিক্-মিক্ জোনাকির ঝাঁক,
চতুরদিকে কর্কশ ব্যাঙের ডাক।
জলে থৈ-থৈ ফসলের মাঠ,
শিওরে জ্বলছে এক-ফালি কাঠ।
দূর হতে ভেসে আসছে,রামায়ণী গান,
আজ হয়তো শেষ হবে,রাবণের বাণ।
মাঝে-মাঝে অশ্বত্থগাছে পেঁচার ডাক,
জেলেরা মাছের খোঁজে দিচ্ছে হাঁক।
ছুটছে রেলগাড়ি নিস্তব্ধ ভঙ্গ করে,
পৌঁছবো গন্তব্যে মাকে----মনে পড়ে !
মন্দিরেঘন্টার-ধ্বনি,হাঁকছে মোয়াজ্জেন্-আজান,
মা করছে প্রার্থনা, প্রভু সন্তানকে বাঁচান !
ভগ্নদেহে জেগে রয়,স্যাঁতস্যাঁতে বিছানায়,
একদিন ক্ষান্ত হবো, নিদিষ্ট ঠিকানায় !!