পথেরপাশে,আঘাত শত চিহ্ন গায়ে,
ঝাঁপসা চোখে দেখিলাম গোধূলির শেষে।
নিয়েছিলাম গৃহে সকলের অমতে ;
দিবা রাত্রি করেছি সেবা যত্ন।
একদিন চনমনে, পরম যতনে,
দাঁতালের উপদ্রব ফসলের মাঠ।
অতন্দ্র প্রহরী নব পালোয়ান,
হঠাৎ উঠল রব,দেশান্তর হও।
দেশীয় সাংস্কৃতিক,মর্যাদা, মানবতার,পরাজয় ?
কোন কারনে ছাড়ছে দেশ,হচ্ছে উদ্বাস্তু।
মাতব্বররা কই,এমন ঘটনা এখানে নই,
চারিদিকে ছড়াচ্ছে, হিংসার দাবানল।
আনমনে বসে থাকে, ব্যথাভরা বুকে,
হিংস্র পশুর মত, উর্দিপরা ঢুকলো গাঁয়ে,
বুটেরআওয়াজ বন্দুকের গর্জণ অমানবতা।
ভাগারে পচা-গলা লাশ,শকুনের আগমন,
উদাস নয়নে এল,হন্ত-দন্ত হয়ে,,
ছাড়লাম জন্মভিটে,সকলের সনে।
সঙ্গী হল মোদের পথের কাণ্ডারি,
পাহাড়,জঙ্গল,নদী ছেড়ে অজানা ঠিকানায়।
সবুজপাতা,নদীরজল,ক্ষুধায় আলিঙ্গন,
অবশেষে জুটলো ছোট্ট কাঠের নৌকা।
লোকে গিজগিজি উচ্চস্বরে কান্না,
কুকুর বলে হলনা,নৌকায় উঠা।
ছাড়লো গন্তব্যে,দিল ঝাঁপ প্রবল স্রোতে,
উন্মুক্ত আকাশের নীচে সকলের সনে।
লেজ নাড়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে।।