কাকভোরে গরু লয়ে, বাঁশি বাজিয়ে ধুলো উড়িয়ে-
রাখাল বন্ধু যায়, দিগন্ত প্রসারিত মাঠে।
সেথায় খেলে হা-ডু-ডু, ডাংগুলি,দাড়িয়াবান্ধা,
গোল্লাছুট, এক্কাদোক্কা, নদে সাঁতার কাটে।


মনের সুখে মধুর সুরে, ভাটিয়ালি গান গেয়ে
নাও ভাসিয়ে শাপলা, পদ্মপাতার সন্ধানে---
যায় দূর বহুদূরে অজানা অচেনা ঠিকানায়,
নৌকা ভরে কতশত শাপলা পদ্মপাতা আনে।


কৃষাণের সনে গান গেয়ে; সোনার ফসল কাটে,
ফসলের সুমধুর গন্ধে উৎফুল্ল প্রাণ।
ছায়াঘন বৃক্ষের নীচে কৃষাণীর সনে---
একতারা ঘুঙ্গুর বাজিয়ে গায় মরমী গান।


নদীর কিনারে বাঁধে সাধের ছোট্ট কুঁড়েঘর,
সবে মিলে আনন্দ উল্লাসে ভরায় হৃদয়।
গোধূলি লগ্নে গরু লয়ে রাখাল ফেরে আলয়ে,
রাখালের প্রত্যহ কাটে মহা-খুশিতে সময়।