একটা মেয়ে দুঃখ লুকায়
কাঁদতে তার যে বারণ,
কারো কথা শুনে না সে
লুকায় ব্যথার কারণ।


মিথ্যে তাকে স্বপ্ন দেখায়
সকলে দেয় ফাঁকি,
দায়সারা সব ভালোবাসায়
দায়টা রাখে বাকি।


তবু দেখায় স্বপ্ন তাকে
আশা সর্বনাশা,
মিথ্যে জেনেও স্বপ্নে ভাসে
পেতে ভালোবাসা।


হেসে মেয়ে জীবন কাটায়
দুঃখ গোপন করে,
সবার দুঃখের সাথী হয়ে
থাকে জড়ায় ধরে।


সবাই বোঝে তার ব্যথাটা
না বোঝার ভান করে,
কেবল শুধু সময় কাটায়
রঙিন মুখোস পড়ে।


যেসব খেলা মেয়ের সাথে
চলছে ধরাধামে ,
সে সব মেয়ে গোপন রাখে
ছোট্ট নীলাভ খামে।


ও মেয়ে তুই আর রাখিস না
অশ্রু চোখের কোণে,
সকল দুঃখ দে পাঠিয়ে
দূরের কোন বনে।


মেয়েরে তুই এমন কেনো
হোস্ না কারো দাস,
সবাই কি পায় জীবনসঙ্গী
কর্ না একাই বাস।


একলা করে তুই এসেছিস
ভবেরই পাঠশালায়,
মিথ্যে সকল ভয়কে কাটা
বাঁচ না উচু মাথায়।


অমনই আমার কথা শুনে
হেসে উঠে মেয়ে,
বললো দেখো হাসছি কতো
কাঁদবো না ভয় পেয়ে।


এই যে আমি হলাম আজকে
রুদ্র ভয়ংকরী,
বিশ্ব জয়ে আজকে আমি
একাই রাজেস্বরী।