কবিতা তোমায় দিযে ছুটি গেলাম নির্বাসন,
নাই-বা তুমি নিরে দখল মনের সিংহাসন
নিশি জেগে রইবো আমি হাসনাহেনার গন্ধে
কামিনী ঘ্রানে কাঁদবে বেলি সুখের আনন্দে।
নাই-বা হলে ও কবি তোর আমার কথা শোনো
মুদলে আঁখি বুঝবে তখন প্রেমের ষোলো-আনা।


না থাকলে রে কাছে,খুঁজবি আপন করে,
জুই,চামেলী,গন্ধরাজে, কাঁদবে বকুল ধরে।
কদম ফুল আর বিচিত্রা ভাসবে আবেগ ভরে
কৃষ্ণচূড়া  রাঙিয়ে দেবে তোমায় নুতন করে।
হাসবো আমি দূর থেকে ঐ,পলাশ ফুলের মতন
শিমুল ফুলের তুলো হয়ে,করবো তোমায় যতন।


রজনীগন্ধার বৃন্তখানি, সাজাবো যতন করে
গোলাপ হয়ে থাকবো প্রিয়ার খোঁপাখানি ধরে
হাসবো আমি রঙন হয়ে,দোঁহার প্রেম দেখে
কাঠ- গোলাপের আভায় রাখবো চোখে চোখে।
ভালো থেকো দোলন লিলি ক্যামেলিয়ার গন্ধে
জবা ফুলে রাঙিয়ে নিয়ো লজ্জাবতীর ছন্দে।


মালা যদি চায় গো তোমার সেই সে প্রিয় সখি
শিউলী ফুলের কাছে যেও,হবে চোখা-চোখি
বৌকে এখন কি বলে,ডাকছো নুতন করে,
আকাশমণি ঘাসফুল না চম্পাকলি বলে?
যে নামেতেই ডাকো তুমি,শুনতে মধুর লাগে
আমি কেবল যাই হারিয়ে ফুলের অনুরাগে।


চৈতি,তিসি,হিমঝুরি আর কাক পটলের কাছে
মাধবী লতা জংলী মটর,ডোল-কলমিও আছে,
সবার মধ্যে পাবে আমায়,মালতী লতা হয়ে
তোমার ঘরের ঝুল বারান্দায়,দুলবো রয়ে রয়ে।
প্রিয়দর্শনী অলকানন্দা তুরান কিংবা বাবলা ফুল
কুমারিকা দেবকাঞ্চন- চিনতে কিছু হয় না ভুল।


শত সাদা ফুলের মাঝে, রঙিন হয়ে থাকো
গন্ধ দিয়ে ভরাবো মন যেথায় যেমন রাখো।