নিজেকে বড্ড অপরাধী লাগে
আমি মানুষ নই,কবি নই-শুধু নারী বলে
নারী লাঞ্ছিত হলে পুরুষই আগে দাড়ায় বটে
বাসে দাড়িয়ে থাকলে আসনটিও ছেড়ে দেয়।
পাশের বাড়ির রমার মা ছেলের হাতে লাঞ্ছিত হলে
দাদা ঠাকুরও বলে,পরেশ,ভালো হচ্ছে না কিন্তু!


অবাগা কতো পুরুষ ভালোবাসার নারীর কাছে
মার খায়-শুধুই কি হাতে?কথায় এবং চালেও
কই, কেউ তো করে না প্রতিবাদ কিছু!
নারীর কান্না কতো মানুষের সহানুভূতি পায়
বুকে রক্তক্ষরণ তবু চরিত্রহীন তকমা সয়েও
পুরুষ কাঁদে না,তার জন্য নেই কোনো সান্ত্বনা।


তোমার মা-বাবা,ভাই-বোনই সব!
আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে!
- এমন ধারা কটু কথায় মর্মাহত
বেচারা পুরুষ বিচলিত হয়,বলে না হক কথা
নারীর কাছেও জিম্মি পুরুষ নানান ছলনায়
নারীর সান্নিধ্য রক্ষায় পুরুষ সবই সবই মেনে নেয়।


সব বুঝেও কতক পুরুষ অবুজ হয়েই থাকে
স্ত্রৈণ পুরুষ নারীর কারণ দুরে সরে
মা- বাবা পরিবার স্বজন থেকে
বড়জোড় পুরুষ তারে 'বউ- পাগলা' বলে।
আরো শত নির্যাতনেও নীরব পুরুষ
কেউ তারে দেকে না,পড়ে না কারোরই চোখে!


কতো মীরা,নিতু, সেতু ধর্ষিতা মেয়ের নাম
প্রতিদিন উঠে আসে খবরের পাতায়!
নারীর হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত পুরুষ
কখনো আসে না খবর হয়ে
পায় না সহানুভূতি,হয়না প্রতিবাদ কোন!  


ধর্ষিতা হচ্ছে স্কুল পড়ুয়া কিশোর ছেলেটি-
তার সারের সুন্দরী বউয়ের দ্বারা
ড্রাইভার চাকর -তার বিত্তশালী মালকিনের
কিংবা গরীব বেকার ছেলেটি-
তার কর্পোরেট অফিসার ম্যামের কাছে
তবুও নেই তাদের কোনো বাদ প্রতিবাদ।


জুটবে কপালে চোর,লম্পট কিংবা ধান্দাবাজের তকমা
তাদের চাপা দুঃখগুলো বিস্ফোরণ ঘটায় কদাচিৎ
কান্না নেই,কথার যাদু নেই,শোনাবার কেউ নেই,
জানতেও পারে না কেউ নেপথ্য কথা।
তাইতো নিজেকে বড্ড অপরাধী লাগে
কেননা, আমি সমাজে বিশেষ সুবিধাভোগী।

আমি সতীত্বের দাবী করি, তুমি করতে পারো না?
আমায় রক্ষায় নারী নির্যাতন আইন আছে
তোমার জন্য আছে কি হে পুরুষ?
বাজার মুল্যে বাঁকা হলেও সোনার আংটি তুমি
তাই কি অপবাদ সয়েও হাসতে পারো?
তোমার দুঃখগুলো যায় না গোনা


নিজেকে বড্ড অপরাধী লাগে
সব বুঝেও, তোমার পাশে না থাকায়।