ছাদে বসে কিশোরী এক মগ্ন কল্পনাতেই
হাতে তার ফিজিক্স বই পড়ায় মন নেই,
শীতল রোদে গা এলিয়ে অধীর হয়ে ভাবে
দূর আকাশের মায়া কখন তাকে ছেড়ে যাবে,
ন্যানো-সেকেন্ড মিনিট করে সময় কেটে যায়
আপন মনে ভাসে সে যে কল্পনারই নায়,
পরীক্ষা সামনে তবু পড়া হয় না কিছু
একটু একটু করে তার স্মৃতিরা নেয় পিছু,
স্মৃতির সাথে আরেক জগৎ ভীষন অভিমান
জানেনা সে কোথায় যেন অন্যরকম টান,
ক্যালকুলেটর হাতের কাছে নিঃস্ব পড়ে থাকে
অলস কলম পড়ালেখায় ব্যর্থ করে তাকে,
একমনে সে দৃষ্টি রাখে অসীম আকাশতলে
টের পায়না চোখ দুটো যে কখন ভিজে জলে,
হঠাৎ করেই ভেসে ওঠে বাবা মায়ের মুখ
অনেক প্রত্যাশাতে যারা বেঁধে রাখেন বুক,
অর্থহীন লাগে তখন জীবনের সব মায়া
ব্যর্থতা সামনে আনে ভীষনমূর্তি কায়া,
সেই মূর্তি হৃদয় ভাঙে একটু একটু করে
বুকের ভিতর মুচড়ে ওঠে অজানা এক ঝড়ে,
সেই ঝড়েতে হারায় সে যে অন্ধকারের মায়ায়
অজান্তে সে যায় এগিয়ে সর্বনাশের ছায়ায়,
ধীর পায়ে সে এসে দাঁড়ায় ছাদের রেলিং ঘেঁষে
হার মেনেছে ব্যর্থ জীবন মৃত্যুর কাছে অবশেষে।