রাত তিনটে ,
থেমে গেছে ডাইনিং রুমের ফ্রিজের শব্দ
শুরু হবে কিছু পরে আবার ঘটাং শব্দ করে
  শুয়ে থাকা বৃদ্ধা মা কিছুটা চমকে উঠে
পাশ ফিরে শুয়ে যাবেন ।
এরপর চুপচাপ নিঃশ্বাস লুকিয়ে রেখে
ছিঁড়ে যাওয়া পাতলা কাঁথাটা মুড়ি দিয়ে
মনে হবে আজও কিছু করা হল না
অপাঙতেও মনে হবে পর্যাবৃত্ত সময়
গলার কাছে শুকিয়ে যাবার কারণে
উঠে ডাইনিং টেবিলে যেতে হবে, জল খেয়ে
ফিরে এসে থেমে যাবে রাতের ঘুম
জীবনের নিরুক্তি ক্রমাগত ভাসবে চোখের সামনে
  বেজে যাবে চারটে ।
তারপর আবার নিঃশব্দ ঘুমোনোর চেষ্টায়
চোখ বুজে রেখে গুনতে থাকব এক থেকে একশ
চাকরির খোঁজ লাগানোর ব্যবস্থা ভাবতে ভাবতে
ফজরের আজান পড়বে ।
বাবা উঠবেন, কিছু পরে সুর করা কোরানের
আয়াত শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ব আমি
আর দীর্ঘ দিবস যে অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য
নিয়ে দরজায় ঝুলছে গলার ফাঁস হয়ে
তার ব্যাবচ্ছেদ করতে করতে ক্লান্ত পায়ে
হেঁটে বাড়ি ফিরে আসব মধ্যদুপুরে ।
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামবে
অসংখ্য নক্ষত্রে ছেয়ে থাকা আকাশের
কোনো কোণে দীর্ঘশ্বাস ভারী হয়ে উঠে যাবে
আবার শুরু হবে মধ্যরাত ।
দরজা বন্ধ করে ঘুরতে থাকা পাখার গতিবিধি
দেখব , একটা নতুন কলম নিয়ে রেখে দেব
বিশ বছরের পুরনো কাঠের টেবিলে ।
আর, অপদার্থের মতন সুস্মিত হাসি মুখে মেখে
  ঝুলে পড়ব পাখাটার সাথে ।
পঞ্চাশ বছরের পুরনো পাখাটা এত বড়
অযোগ্যের ভার বইতে পারবে কিনা কে জানে ?