ক্ষমা করে দিও আমায়, তোমার মতো হতে পারিনি
নীরবে নিভৃতে একাকী জলে পুড়ে অঙ্গার
হতে পারিনি মহীয়সী, মায়াবী ও উদার
ঘৃণিত সমাজের লুণ্ঠিত নাবিক হয়ে হয়েছি বিজয়ী
করেছি শত্রু দমন, দিয়েছি সমন
মশাল নিয়েছি হাতে বিজয়ের বেশে
অবশেষে আজ নিঃস্ব


ক্ষমা করে দিও, এই অভাগার চোখের জল মুছে
নামের বিপরীতে চিহ্ন একে দিও
বাঙালী নামক স্মারক চিহ্ন, যেখানে মীর জাফরের ঘা
যেখানে চোরের কৃতিত্ব হয় সনদে
যেখানে আপন শুধু আমিত্ব, ধন ও টাকার পাহাড়
চিহ্নটা ঠিক বুকের মাঝখানে দিও
যেখানটায় হয় প্রতিদিন তোমার ধর্ষণের ভালোবাসা


ক্ষমা করে দিও, পেরেও পারিনি জেনেও নীরব
সরব এখন পায়ের রিক্সা আর ঘাম ঝরানো ক্ষুধা নিবারণ
মাঝের সময়টা পরাধীন বাংলার আকুতি আর
সবার ভালো থাকার অভিনয় দেখা
কিছুই যে করার নেই! রক্ত এখন আর লাল রঙের না
তাইতো টগবগ করে উন্মাদ হয়ে করে না প্রতিবাদ
তোমাদের কারও জন্য আরও বেশি হতাশায়


বাঙালির প্রতিটি বিজয় এখন বিলুপ্ত
বাংলাদেশ বিজয়ের তরে কেউ কথা রাখেনি
আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমিও পারিনি
বিজয়ের সুখে পরাজয়ের ঘুমে ক্লান্ত
প্রতিহত করতে পারিনি সহযোদ্ধার কামনার স্বাদ
পারিনি তোমার হাসি বুকের মাঝে আগলে রাখতে


তবুও থাকবো মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে নয়
বাঙালী নামের বাংলা ভাষায়
অপবাদ অসহায়ের মতো নিজের করে নিয়ে
আবারও যুদ্ধে যাবো যদি আসে বাঁধা
নতুন করে হাসি ফোটাবো তোমার মুখে
ক্ষমা করে দিও, কত দিন তা জানি না জেনে।