বিপন্ন প্রদীপের ন্যায় যন্ত্রণা বুকে বয়ে সহস্র বছরের ইতিহাসে ঠাই
অযত্নে অবহেলায় দোয়াত কালি মূর্খের মতো আগলে রাখতে পারিনি
অধৈর্যে বিগলিত হয়েছে পোশাকের শালীনতায় ইঁদুর কামড়ে চিহ্ন,
শ্যাওলার জন্মে ঢাকা পড়েছে পোড়ামাটি, বিলুপ্ত হয়েছে খোদাই নাম
এখন কেউ খুঁজে নিবে না জানি, দুচোখের পানি তবুও ভিজে না পাঁজর!
অস্থিরতা ছিলো তখন, ভালবাসা ছিলো ঢের রঙিন বলতে কাপড়ের রঙ
সাদা কালো মনটাকে শান্তি দিতো দক্ষিণা বাতাসে ভেসে আসা ফুল ঘ্রানে
সেই দিনটাকে খুঁজতে খুঁজতে সহস্র বছর করলাম পার, নেই যে সংসার।
কে আপন! কে রক্তের বুঝবো কি করে?
ধাক্কাটা লাগলো মনে খুব, চুপ_নিঃস্ব চুপ হারিয়ে গেলাম অধরায় বুঝি
তবে কেন নেমপ্লেট ছাড়া আপন ঠিকানা পাগলের মতো খুঁজি।
আমায় চিনবে না কেউ, এটাই হয়তো স্বাভাবিক
দু'এক পুরুষ যে হয়নি পার, শত পুরুষের আবির্ভাবে আমি বিলীন
তবে কেন নেমপ্লেটের জন্য হৃদয়টা ফেটে যাচ্ছে! ঝরছে রক্ত?
কেনইবা আগামীর জন্য চেয়ে থাকা, অদৃশ্যতা আগলে রাখা?
কেউ কি আগলে রেখেছে স্মৃতির দৃশ্যপট খুব যত্ন করে?
কেউ কি গর্ব করে চিৎকার দিয়ে বলবে উনি আমার বংশের
রেখে গিয়েছে সমস্ত কর্মের অশেষ, যা কিছু তোমরা এখন দেখতে পাও
যদি একটিবার তাকে দেখতে পেতাম এই সময়ে!


তুমি তোমার মতো নিজেকে সাজিয়ে নাও আপন খেয়ালে
পৃথিবী ধ্বংসের আগে কিছু করে যাও সবার জন্যে আর
নিজের জন্য নিয়ে যাও আমল, রেখে যাও আমলের ধারাপাত।