জান পাখি, তুমি কি আমার উপর রাগ করছো !
আমি কলঙ্কিনী হইয়াও তোমারে বাচাইবার পারি নাই
আমার চিৎকারে যখন বেবাগ হগল আইছিলো
আমারে বিবস্ত্র আর তোমারে যখন জ্ঞানহারা দেখছিলো
তখন আমার বলার শক্তি আছিলো না
হগলের আউলা ঝাউলা কথায় আমার কথা কেউ শুনে নাই
চোখ-খের পানি শুধু গড়াইয়া পড়লো
তোমারে যে যেমনে পারলো মারলো,
আমারে ছাইড়া দেন, আমারে ছাইড়া দেন, আমি কি করছি?
তোমার ঐ কথাগুলান কেউ শুনে নাই
মারতে মারতে তুমি যহন  ঠাণ্ডা হইয়া পইরা রইলা
তহন আমার চুলের মুঠি ধইরা লইয়া গেলো
আমারেও অনেক মারলো


জানপাখি, তুমি তোমার কাছে আমারে লইয়া যাও
আমি এহানে অনেক কষ্টে আছি
আমার লগে কথা কয় না,
তোমার মত ময়না কইয়া ডাহে না
আমারে কেউ আর বুকে আগলাইয়া রাহে না
সারাডা ক্ষণ ডরে ডরে কাডে।


হগলে তোমারে মাইরা উপরে পাঠাই দিলো
আর আমারে নিয়ে কি যেন সালিশ করলো
আমার বাবজানও আমার লগে কথা কয় না
আমি নাকি তোমার লগে ফষ্টি নষ্টি করছি!
তুমি তো জানো না আমার লগে কি অইছিলো
যারা আমারে ডাইকা নিয়া গেছিলো তোমার কথা কইয়া
যারা আমারে বেরহম ভাবে লুইটা পুইটা ছিরা খাইলো
তারাই সালিশে আমারে বেইশ্যা বইল্যা সবার সামনে কইলো-,
কইলো কেউ যেন আমার সাথে কথা না কয়
কেউ যেন আমারে কিছু না দেয়
আমারে সব সময় পাহারা দিয়া রাহে, যেন মরতে না পারি
খুদার জ্বালায় কান্দি, কেউ কাছে আহে না


জান পাখি, তুমি কি আমার উপর রাগ করছো?
তোমার ভিটা মাটি আমি বাঁচাইবার পারি নাই
তুমি এতিম বইলা তোমার চাচাতো ভাই দহল কইরা নিছে
ওহ! তোমারে তো বলি নাই, ঐ কুত্তাডাও আছিলো
আমারে ঐ কুত্তাডা বেরহম ভাবে ----------
কত্ত কানছি, পায়ে ধরছি, শুনে নাই
আর বলছে এই সুযোগ পরে আর পাবো না
আমি তহন বুঝি নাই, এহন বুঝি সব কিছু
এমন কেন অইলো তুমি কইবা ?
আমি কেমনে বাচুম, মরতেও তো পারি না !