আমি শীতলক্ষার তীর বেয়ে চলা পথিক
সুগন্ধি ও দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নির্ভর মানব
সমুদ্র বিলাসের ন্যায় অবিরাম ছুটে চলছি পাড় ঘেঁষে
ক্লান্তিহীন ছুটে চলায় শীতল পরশের ছোঁয়ায় উজ্জিবিত
তুষারপাতে অনুভবে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ভেজা দুপুর
শঙ্খচিল বিদায়ের ক্ষনে চুপিসারে বলে যাওয়া বিদায় বন্ধু।


আমি শীতলক্ষার বুকে ভেসে বেড়াই
ক্লান্ত ঢেউ ডুবিয়ে মারতে শেখায়নি সেই থেকে
তুমি আমি পাশাপাশি মুষ্টিবদ্ধ যখন থেকে
ছৈ নৌকার ভিতর তোমার আমার প্রণয়ের ইতি
মনে আছে কি! মনে আছে কি দুঃস্বপ্নের সেই মুহূর্ত
প্রথমবারের মত ভালবাসার বিচ্ছেদ ঘটানো মুহূর্ত।


শীতলক্ষ্যার পাড়ে এখন অনেক মানুষের আনাগোনা
ওরা কি তোমার জন্যই আসে! না তা হবে কেন?
ওরা তো জানে না তুমি কোথায় থাকো
জানলেই বা কি, তোমার মায়া কাছে টানবে না ওদের
বুকের মাঝে ভালবাসার শিহরণ দাওনি যে
যে ভালবাসায় আমি ডুবে যেতে পারিনি।


আমি এখন আর ছৈ নৌকায় উঠতে পারি না, আঁতকে উঠি
কেউ আমাকে নদী পার করতেও দেয় না ফিরবো না ভেবে
শুনতে দেয় না তোমার ডাকার শব্দ রাত্রি যাপনের ভয়ে
দিনের আলোকে আর কত অপেক্ষা করবো বলো
তুমি যদি ঐ নিশিতে এসে যাও, আমায় খুঁজে না পাও
তবে কি হবে, তবে কি করবো আমি! পেয়েও হারাবো তোমায়।


এখনকার মাছগুলো তোমার খবর এনে দেয় না
খুব বেশি হিংসুটে হয়ে গেছে, বড্ড বেশি হিংসুটে
হয়তো তোমায় অনেক বেশি ভালবেসেছে তোমায়
আমার যন্ত্রণা শুধু ঐ শঙ্খচিল বুঝে, আর বুঝে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি
বুঝতে চায় না এই শীতলক্ষ্যা, যে কি না তোমায় হরণ করেছে
তাইতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দিনের পর দিন রেখেছে অপেক্ষায়।