দোষ'টা কার?
তোমার! নাকি আমার?
এই ধরনীর তলে, রসাতলে'র বিফলে, কেন হচ্ছে না মনের মত?
অনেক পাওয়ার আকাঙ্খায়, সব হারানোর শঙ্কায়,
নিচ্ছনা তবুও বিরতি নামক থমকে যাওয়া কিছু,
কেন জানি সময় ছুটছে তোমার পিছু।


তুমিতো তোমার মতই শুকরিয়া আদায় না করে চুপ,
যা কিছু তোমার নিয়ে নিবে সব লুটেরা তবুও কমবে না রূপ।
নিশ্চুপ তবুও রবে এই ভবে প্রতিবাদ স্বার্থের দায়,
নিজের বিপক্ষে গেলেই মাথায় হাত আর মুখে হায় হায়।
তখনই মনে হয় তুমি আমি জনগণ বিপদে অকারণ,
ভেবে দেখা হয়নি এই দোষ টার জন্যই নিজেই কারণ।


আজ দেদারছে চলে ঘুষ, কেউ দুঃখী কেউ খুশ,
বাকিরা তবে কি দুধের মত সাদা?
সরকারি নামে সব দরকারী টাকাগুলো,
পকেটে ভরছে সকলকে বানিয়ে দাদা।
আসলেই কি ওদের দোষ? আরে নাহ্!


তাড়াতাড়ির বাড়াবাড়ি করেই তো সকলে
বেহুদা পকেটে হাত, মুখ চোখ ধকলে।
শিখিয়ে দিচ্ছি ঘুষের পর্বটা কত সহজে হয়ে যায়,
বড় হয়ে ছেলে করবে গাড়ি বাড়ি লোভ'টা বাবার
জন্মের আগেরটা বাদ-ই দিলাম, ঘুষ দিয়ে লেখাপড়া শুরু
দোষ'টা কার? তুমিই তো জনগণ, আর তুমি ঘুষের গুরু।