ভালোবাসা যেন কোন এক উদ্দেশ্যহীন গন্তব্য
হঠাৎ জীবনে আসে
রঙহীন স্বপ্নকে রঙিন বানায়।
যে ছেলেটা বড্ডো অগোছালো
সে হুট করে সংসারী হয়ে যায়
চঞ্চলা কিশোরী হয়ে উঠে নারী।
যে তরুণ আড্ডায় জীবনের মানে খুজে পেতো
হঠাৎ তার কাছে ঘর প্রিয় হয়ে উঠে
সিগারেট ছেড়ে ধরে প্রেয়সীর হাত।
যে মেয়েটাকে সবাই বলতো দজ্জাল দারোগা
স্বভাবে, চোখের ভাষায় সে হয়ে যায় শান্ত হরিণীর মতো
রাগ শব্দটা তার কাছে পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য মনে হয়।
দু'কথা বেশি বলেছিলো বলে যে ছেলেটা চরম আক্রোশে
মেরে ভেঙ্গে দিয়েছিলো রফিকের হাত;
প্রেয়সীর হাজার কথা শুনেও সে থাকে -
ভেজা বেড়ালের মতো চুপচাপ।
বাবা দামী জামা কিনে না দিলেই
যে মেয়েটা হট্টগোল বাধাতো;
সে মাসের পর মাস এক জামাতেই কাটিয়ে দেয়
যেন এভাবেই সে অভ্যস্ত অনন্ত কাল।


ভালোবাসা হুট করে আসে; জেকে বসে মনে
নারী বিদ্বেষী ছেলেটা গার্লস কলেজের গেটে দাড়িয়ে থাকে
চিরকুমারী সংঘের সভাপতিকে দেখা যায় যুবকের সাথে-
পাশাপাশি বসা এক রিকশায়।
ভালোবাসা আসে কাল বৈশাখীর মতোই হঠাৎ
কেন ভালো লেগেছিলো? কেন ভালো লাগে?
প্রশ্নগুলো হয়ে যায় অর্থহীন;
অতি সাধারণ ছেলেটা হয়ে উঠে রাজপুত্র
শ্যামলা মেয়েটা চাঁদ।


ভালোবাসা হুট করে আসা এক বর্গী যেন
হঠাৎ সমস্ত অস্তিত্ব দখল করে নেয়
স্বৈরাশাসকের মতো চালায় শাসন।
তবু এ পরাধীনতাকে সেচ্ছায় মেনে নেওয়া
দিন শেষে বলা; ভালোবাসা মানে-
"তোমাকেই সাথে নিয়ে আছি আমি বেশ।"