আজ তোমাকে আমার বলা হয় নি , তোমাকে আমার অনেক কথাই বলা হয় না । তুমি অবিরাম বলে যাও , আমি ঈষৎ হাসতে হাসতে শুনি । মাঝে মাঝে হাতের নড়াচড়ায় গ্লাস পড়ে যায় , শব্দ করে চাঁদ উঠলে তুমি বাঁকা হয়ে দেখো  । হাঁটো  আনমনে । পূর্ব প্রেমিকাদের থ্রি কোয়ার্টার জামা পড়ার স্মৃতিতে বুঁদ থাকো । নিকোটিনের তীব্র গন্ধ নিয়ে দূরে যেয়ে বলো , আমি ভালোবাসি মন প্রাণ দিয়ে , প্রেমিকারা কেউ আমাকে ভালোবাসেনি । তারা ছেড়ে গেছে , আমি ছেড়ে যাই নি ।


রিকসায় হুড টেনে তোমাকে বলি চোখ বন্ধ করে দেখো একটা দুর্দান্ত মাঠ , একদল নবীন খেলোয়াড় , আর তুমি -
তবু  নস্টালজিকতায় বুঁদ থাকো - পাহাড়ী ঘোড়ায় চড়ে যখন  তোমার পা ভেংগেছিলো , বুকের ভেতর জমে গেছিলো চর , পদ্মায় শুকিয়ে গেছিল বালি ,  ধাক্কা খেলো ভরা নদীর লঞ্চ - তুমি বলো আসলে সে কিছু না । ভুল পথে চাঁদ চলে গেছে । আমিও বলি চাঁদ ভুল পথেই গেছে - যেমন  তুমি যাও , ভাংগো  নদীর মোহনা , সমুদ্রের মাঝখানে যেয়ে বলো আমি ভুল করে চলে এসেছি - বাঁচাও কাদম্বিনী !!


বলা হয় নি  -- সাঁওতালপাড়ার চাঁদ ভুমিতে চলে এসেছে , মুরং কন্যা নগ্ন  মোমের শরীর নিয়ে তোমার পাশে শুয়ে থাকে - তুমি তীব্র  নিকোটিনে ডুবে থেকে শরীর ভুলে থাকো ।
ভালোবাসা কারে বলে  প্রশ্ন থাকে মুরং কন্যার কাছে - সে তাঁত কেটে কেটে জীবন বানায় , বলে   "শোনো যুবা ভালোবাসা এরেই বলে" --