সেদিন ছিল সেই আশ্চর্য বিকেল
তিনি বললেন “ বসতে পারি প্লিজ ?
যদিও পাশের সিটটি খালিই ছিল
তবু অনিচ্ছাকৃত হ্যাঁ বলে তাঁকে বসতে দিলেম ‘
লাজুক এবং চশমা চোখের ভদ্রলোক
দেখেই ভাল লাগার ঘোর তৈরী হয় ।
উনি সেই যে বসেই মুখে কুলুপ আঁটলেন —
আমি ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখি সবুজ শস্যের গ্রাম আর মাঠ
ছুটে যাচ্ছে তারা আমাদের সাথেই
কতক্ষন চুপ থাকা যায় ?
জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাচ্ছেন ?
উনি ইতস্তত করলেন
ভেতরে সন্দেহের ঘোর কি ?
হঠাতই বৃষ্টি !
আহ কেন যে আসে বৃষ্টি ?
একেলা সুখের মত পাশে এসে
জানান দেয় সবগুলো ভাললাগার ঘোর –
যিনি আছেন পাশে , ছুঁয়ে দিতে পারেন হাত
নাহ এটুকু অভদ্র তিনি হতে পারেন না
একাকী বিষণ্ণ হই ফের
কতজনের চোখে আমি নীল নয়না সুন্দরী
তার কি চোখে পড়ে না ?
চা নিয়ে এল ট্রেনের সেবক
তিনি এক কাপ নিয়ে আর এক কাপ আমাকে দিলেন
এরপর ভেঙ্গে গেল সব বাঁধ
গল্পে গল্পে কেটে গেল কতটা বুনো সময় !
ঝিক ঝিক ট্রেনের ঝম ঝম নৃত্যে ্‌
এলাম বুঝি ?
এত তাড়াতাড়ি কেন যে সময় যায় ?
নেমে যাওয়ার সময় হল বলে –
তিনি উঠলেন ।
লিখে দিলেন মুঠোফোনের আঁকাবাঁকা নম্বর গুলো
বাসায় এসে যথারীতি মনে হল তাঁকে
একটা কল করলেই হয়
নাহ কি হবে ?
বলে রেখে দিয়েছি মুঠোফোনের সংখ্যাগুলো সুগন্ধী রুমালের সাথে
মাঝে মাঝে দেখা হয় ওদের সাথে
ইচ্ছে করে ডায়াল করি
জিজ্ঞেস করি
কেমন আছেন ?
হয়নি তাঁকে কল করা
কি হবে দুরের অলীক ভালবাসাবাসি কাছে এনে ।