কখনো কোন এক রূপসী মেঘলা বিকেলে
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির সাথে ছিল বেদনার নীলচে রং
কেন যে তার কথা মনে পড়েছিল…
যিনি ছিলেন ভারি চশমার ফাঁকে
আপাদমস্তক এক নিখাদ ভদ্রলোক ,
১০১ টি নীলপদ্ম সহ তিনি আমাকে ১০১টি চিঠি লিখেছিলেন ..
জমতে জমতে সেই চিঠি গুলো হয়েছিল একটি পুস্তিকা
ভীষণ ভীষণ প্রিয় সে চিঠি গুলো ছিল
এক একটি গান আর এক একটি কবিতা ।
মনের অন্দরে স্মৃতি গুলো জমিয়ে কাটালাম
কতগুলো সবুজ বিকেল বেলা , ,
কেন যে চিঠিগুলোর উত্তর দেয়া হল না
অথবা আদৌ কি দেয়া হয়েছিল সে গুলোর উত্তর ?
শাব্দিক দ্বন্দ্বে কাটে কত দুপুর আর সন্ধ্যেবেলা !
মাঝে মাঝে আদুরে হাতের স্পর্শে
চিঠিগুলো হয়ে ওঠে গল্পের বিনুনিতে হৃদয়ের লালচে রং এ রঙ্গিন
গুন গুন গানের ঝুম ঝুম নৃত্যে রিনিঝিনি রং এ একাকার
অথবা এক একটি পান সন্ধ্যায়
একাকী নিলীমার নিঃস্বতায় বিধূর ।।
একদিন খবর এল তিনি অসুস্থ্য ভীষণ
হাসপাতালে আছেন …
অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্বের পর ছুটে গেলাম
নেই তিনি , শূন্য সাদা বিছানা
অবশেষে জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েছি
সুস্থ্য হয়ে প্রিয়ার হাত ধরে তিনি ফিরে গিয়েছেন
ভেবেছিলাম দেখা হলে তার হাতে হাত রেখে
তারুন্যের সেই উত্তাল দিনগুলোতে ফিরে যাব ।
হলো না ফেরা , আসলেই কি হয়নি ফেরা ?
মানুষ তো কখনো কখনো নিজের কাছেই ফেরে ।