পৃথিবীর তাবৎ সুন্দরীদের মতন
হংসবালিকার বোধ হল পেছনে তার একজোড়া পাখা ,
পাতলা ফিনফিনে অথবা রেশমী
আর সাদা একেবারে সাদা ,অথবা হয়তো মেঘরঙ্গা
মনে করেছিল সে এখুনি ঐ পাখায় ভর করে উড়াল দেবে ।
ও কি মেঘেদের দেশ চেনে ?
ওর মনে নেই
অথবা ওর স্বপ্নালু চোখে ভীড় করলো
মেঘ পরীদের —
ওখানের শান্ত মেঘে পাখা ছড়িয়ে ভেসে ভেসে
বুকের ভেতর জমে থাকা বরফ কষ্টগুলোকে ওরা জল করে দেবে ।
পৃথিবীর মায়ামায় মাটির মমতা বালিকা মনেই করে নি ।
হংসবালিকা অবশেষে
অবশেষে
অবশেষে
কল্পলোকের অন্ধপাখায় ভর করে
উ-ড়া- ল দিল ।
অবশেষে
অ-ব-শে-ষে
মর্তের মাটিতে
নিজেকে ভুলন্ঠিত
দেখতে পেয়ে
আবারো সেই কল্পলোকের অপরুপ পাখায়
ভর করে হারিয়ে গেল ।
হা-রি-য়ে-ই গেল
হংসবালিকা হংসবালিকা তুমি কোথায় ?


**কোন এক প্রচন্ড মনখারাপের রাতে এই লেখাটা লেখা ।অসহায় মানব মনের পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত করার এক অনাবিল ইচ্ছের আকুতি ছিল সেটা ।