১ ।
তোকে দেখলে নস্টালজিক হই


মাঝে মাঝে তোকে দেখলে নস্টালজিক হই
কবেকার কোন দিনে তুই হাত চেপে ধরে বলেছিলি
ঘর ছেড়ে ঘর বাঁধার কথা
আমার ঘর বাড়ি কোনটাই হল না
শুধু দূর বনে পাখিদের দলে
পাখি হয়ে হয়ে তোকে না চেনার ভান করেছি
আড়চোখে তোর চোখ দেখে দেখে
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভেবেছি
আহা আর একটু সাহসী হলে কি এমন ক্ষতি ছিল !
২।
আজকের দখিনের বাতাস পণ করেছে


আজকের দখিনের বাতাস পণ করেছে
সব উড়িয়ে নেবে
বই খাতা আলমিরা
সাথে আমাকে ও
আমি ইচ্ছে করলেই থামিয়ে দিতে পারি
তার এই পাগলামির বন্যা
তবে তার এই উড়িয়ে নেয়ার বন্য ইচ্ছেয়
আমার ভাল লাগা ভীষন
আমিও ফাঁক পেলে তার সাথে বাতাস হয়ে
তোমার পাশে এসে ঠিক উড়িয়ে নেব তোমাকে
সাথে তোমার কবিতার খাতা আর তোমার প্রিয় গীটার
রিক্ত সাগরের পাশে এক বারগেন্ডি রঙ এর সন্ধ্যায়
তোমার গীটার , আমি আর তোমার কবিতার খাতা !


৩।
আহা কি নিঃসঙ্গতা তোমার


তোমাকে দেখলে আমার মনে হয় তুমি আসলে সুখী না
মেকী সুখ আর জনতা জনার্দনের অবিরাম ফুলঝুরিতে তুমি
তোমার নিঃসঙ্গতা ভুলে থাকো
আত্মার দিকে দেখার অবকাশ হয় না তোমার
তোমার ছেড়ে দেয়া সিল্কি চুলের রাশিতে
জনতার চোখ যখন পিছলে পিছলে
তোমার বাহু থেকে শরীরের গভীরে প্রবেশ করে
তুমি পুলকিত হলেও
একাকী তোমার অন্তরমহলে তুমি ফের নিঃসঙ্গ হও
তুমি এবার এলে আমাকে দিয়ে দিও তোমার দুঃখের মহল
আমার খুব ইচ্ছে তোমার ওরকম বিপুল খ্যাতির
দুঃখ গুলোর রঙ ছুঁয়ে দেখার ।