তিনটি কবিতা
১।
বায়বীয়
সবার ভেতরে একজন রাজা থাকে ,
একজন রানী থাকে , পরী থাকে ,
অথবা চেনা মানুষের ভেতরে থাকে
অচেনা মানুষের বায়বীয় মুখ -
বায়বীয় মুখকে আমার ভয় ভীষন
তবু পৃথিবীর চেনা নিয়মে কেউ কেউ
পায়ের কাছে এসে ঢেউ হয়
কেউ কেউ চেনা সুরের
প্রিয় কোকিল হয়
তবু সে প্রিয় বসন্তকালেই ডাকুক
রাত দিন আমার কুহু কুহু ডাক
ভাল লাগে না –
২।
নতুন আকাশ চাই


মন খারাপ হলেই দেখতে পাই
পিঠের অদৃশ্য পাখাটা ভেঙ্গে গিয়েছে
মাটিতে থুবড়ে পড়ে আছে
আমার যাবতীয় ঠিকানা গুলোর চেনা বর্ণমালা
একটা নতুন ঠিকানা চাই
নতুন আকাশও মন্দ নয়
এখানে এখন যাবতীয় গোলাপ কাঁটা
শুধুই হুল ফোটায় -
বুকের ভেতর , নখের ভেতর
চোখের ট্রান্সপারেন্ট জলের ভেতর –
৩।
শিক্ষণ


তিনি বললেন আমি শিখছি আপনার কাছে
আমি বলছি আমি শিখছি আপনার কাছে
শিক্ষণের বেহুদা বাচাল
শিক্ষকের কাছে আমার কিছু শেখার নেই আসলে
সে ইতিমধ্যে তার শ্বাপদ নখর প্রদর্শন করে ফেলেছে
সেটাও অবশ্য শিক্ষণের অংশ ছিল
আমি মানছি অথবা মানছি না
অবশ্য সব মানামানি এক মাত্রাতে থাকে না—–