**
বিকেল হলে তুমি সুর্য হও , দুপুরের গনগনে সূর্যের মত , জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার !
আমি একটা ছেড়া জামার মতন একদম দীন হীন তোমার কাছে,
দস্যু রত্নাকর বুঝি তুমি ?


**
মেয়েটা মূহুর্তেই হয়ে গেল মেঘ , চোখগুলো তার দিঘী , ঠোঁটগুলো গোলাপ আর ছেলেটা একটা কাব্যের কৃষ্ণ , সে বাঁশী বাজাল অমনি মেয়েটা হয়ে গেল রাধা -
এক আকাশ বৃষ্টি , হাত দাও রাজকন্যে - আজ বৃষ্টি হবো দুজনে - কৃষ্ণের চোখে আবেশের ঘোর -


**
তোমার হারিয়ে যাওয়া কনভার্সেশনে তোমার পরিচয় খুজে পেতে আতি পাঁতি করে খুঁজলাম তোমাকে ফের ।আহা কতকাল তোমার চোখ দেখা হয় না --


**
যে নিহত আততায়ী গলা টিপে মেরেছিলো আমাকে , সে আজ বেদনা ভরা চক্ষু নিয়ে আমাকে দেখে , নিহত গোলাপ ছিলাম নাকি তুচ্ছ ঘাসফুল !!
ভুলে গেছি সব -
আততায়ীর ব্যাথাভরা চোখ , জলে ভাসা পাপড়ি আমাকে ভুলে যাওয়া পৃথিবীর
আদিবাসী সেই তরুণের কথা মনে করিয়ে দেয় ।
চোখ ভরা ব্যথা ছিল তার , খাড়া খাড়া চুলের উপর দিয়ে খেলে যেত দক্ষিন সমুদের
উত্তাল ঢেউ , কন্ঠে মদির সুর -
আততায়ীর ব্যথাতুর চোখে কিসের বেদনা ? যা চেয়েছিলে তাই পেয়েছো হে অচেনা যুবা !!
তবু যদি থাকে অচেনা ক্রন্দনের সুর , কাছে এসো মুছে দেই তোমার চোখ , অচেনা বন্দরে
ভিড়িয়েছো তোমার নৌকো - নিয়ে চলো তোমার পথে ,পুরো পথই আমার অচেনা --